ড্যাপ পরিবর্তন না করার কারণে নির্মাণ কাজ থেমে যাওয়ার ‘ধারণা ভুল’

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন, একটা ভুল ধারণা আছে যে ড্যাপ পরিবর্তন না করার কারণে নির্মাণ কাজ থেমে আছে, বাস্তবে তা নয়।
আজ (মঙ্গলবার) হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ভবন সংক্রান্ত দুর্যোগের (ভূমিকম্প ও অগ্নি) ঝুঁকি প্রশমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, একটা ভুল ধারণা আছে যে ড্যাপ পরিবর্তন না করার কারণে নির্মাণ কাজ থেমে আছে, বাস্তবে তা নয়। আমরা রাজউক থেকে প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে নির্মাণ অনুমোদন দিচ্ছি। নকশা অনুযায়ী সরেজমিনে যতটুকু রাস্তা আছে তা মেনেই আমরা নির্মাণ অনুমোদন দেব। সামান্য লাভের আশায় আইন ভঙ্গ করে ভবন নির্মাণ করলে পরিশেষে আপনাদেরই তার ফল ভোগ করতে হবে। কেননা রাস্তার জায়গা ছেড়ে বাড়ি না করলে ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে পারবে না। বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, শুধু আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে না। এর বাইরেও যেন প্রকৌশলীদের দক্ষতা বাড়ে সে লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে জাইকাসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করছি। আমরা চাই ভবিষ্যতের শহর হবে নিরাপদ, পরিবেশ বান্ধব ও দুর্যোগ সহনশীল। এসব নিশ্চিতকরণে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) হারুন-অর-রশীদ বলেন, গত কয়েক বছরে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের সংখ্যা অনেক। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসস্থান রেখে যেতে আমাদের আইন মেনে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করতে হবে। রাজউক থেকে ভূমিকম্প ও ঝুঁকি প্রশমনে সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আরও ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আইন অমান্য করা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিধিরাও অনেক সময় সঠিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসহায় হয়ে যায়। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর কর্মপরিবেশ পেয়েছি। এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে যদি আমরা একটি পরিবর্তন আনতে চাই, তা হলো আমাদের নিজেদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
এএসএস/এনএফ