এসএওসিএলের এলপি গ্যাস সরবরাহে অনিয়ম, প্রমাণ পেল দুদক

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) এলপি গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মেয়াদোত্তীর্ণ, অস্তিত্বহীন ও ভুয়া লাইসেন্সধারী পরিবেশকের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল-এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ মে) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
দুদক জানায়, এসএওসিএলের ৩৩৬ জন অনুমোদিত পরিবেশকের মধ্যে অন্তত ৫৭ জনের লাইসেন্সের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও তারা নিয়মিতভাবে এলপি গ্যাস সরবরাহ করে আসছেন। ‘মেসার্স ডি ভি গ্যাস’ ও ‘মেসার্স সাগরিকা এজেন্সি’ নামের দুটি পরিবেশকের লাইসেন্স যথাক্রমে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সে এলপি গ্যাস বিক্রি করা আইনত নিষিদ্ধ।
দুদকের সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলম বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি, একজন অথরাইজড পারসনের নামে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকের অনুমোদন রয়েছে—যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক। প্রতিষ্ঠানটির কোনো ডিলারশিপ নীতিমালাও আমাদের দেখানো হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এসব অনিয়মের পেছনে এসএওসিএলের সাবেক কিছু কর্মকর্তার গাফিলতি রয়েছে। বিশেষ করে সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) আবদুল সালাম মীরের নাম উঠে এসেছে। তার কাছ থেকে তদন্ত কমিটি কাগজপত্র চাইলেও তিনি সহযোগিতা করেননি।
আরও পড়ুন
দুদক কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। গঠিত হয়েছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। সব রেকর্ড যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। আমরা মনে করি, মূলত বিক্রয় বিভাগই এ অনিয়মে জড়িত।
এমআর/এমএন