৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, তবু পানির কষ্টে মানুষ

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
পাকিস্তানে ভারতের হামলা উত্তেজনা বাড়াল
পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার দিনের প্রথম প্রহরে এ হামলা চালানো হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তানও। কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ। ভারতের হামলার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এতে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
সমকাল
থ্যালাসেমিয়া কী জানে না ৮১.৬ শতাংশ মানুষ
থ্যালাসেমিয়া বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। দেশের ১১.৪ শতাংশ মানুষ এ রোগের বাহক। তবে দেশের ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের এই রোগ সম্পর্কে ধারণা নেই। এমনকি ৯৬ শতাংশ মানুষ জীবনে কখনও এই রোগ শনাক্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় থ্যালাসেমিয়া জরিপ ২০২৪-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে সারাদেশের ৮ হাজার ৬৮০ মানুষের সাক্ষাৎকার ও রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে।
রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিনগত ত্রুটির কারণে এই রোগে অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় বলে লোহিত রক্তকণিকা সময়ের আগেই ভেঙে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। থ্যালাসেমিয়ার বাহক আর থ্যালাসেমিয়ার রোগী এক কথা নয়। মা-বাবা দু’জনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে সন্তান থ্যালাসেমিয়ার রোগী হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ তাদের। সচেতন হলে এই রোগ প্রতিরোধ সহজ।
আরও পড়ুন
যুগান্তর
সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে হত্যাকাণ্ড থামছেই না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যার চিত্র যেন এক অমীমাংসিত প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক বৈঠক, আলোচনা, প্রতিশ্রুতি কিছুতেই কাজে আসছে না। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে এলেও তাদের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই। বরং সীমান্তে ৯৫ শতাংশ মৃত্যুই হচ্ছে বিএসএফ-এর গুলিতে। সীমান্ত হত্যার এমন চিত্র শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও নৈতিকতার ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
প্রথম আলো
উপকূলে সরকারি পানিবণ্টনে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি
মীরা ও তাঁর স্বামী দুজনই দিনমজুর। পড়ন্ত বিকেলে পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করার আগে দিনমজুরের কাজ করে আসতে হয়েছে মীরাকে। গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে সরদারবাড়ির এই পুকুর থেকে মীরার মতো অনেকেই পানি সংগ্রহ করেন। তাঁদের বাড়ির আশপাশের কোথাও খাওয়ার পানির ব্যবস্থা নেই। মীরা বলেন, এখান থেকে পানি নিয়ে বাড়ি আসতে-যেতে ঘণ্টাখানেক লাগে। গরম আসছে, চিন্তা বাড়ছে। পানির ট্যাংক পাওয়ার জন্য অনেকের কাছে বলেছেন; কিন্তু কাজ হয়নি।
আজকের পত্রিকা
আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না। এই অস্থির সময়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দাঁড়িয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মেরুতে। অনড়, স্বচ্ছ ও আত্মবিশ্বাসী এক প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে।
প্রথম আলো
৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, তবু পানির কষ্টে মানুষ
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের নাজিরপাড়া এলাকায়।
তাঁর বাড়ির ছাদে দাঁড়ালে সমুদ্র দেখা যায়। বলতে গেলে পানির রাজ্যেই থাকেন তিনি, কিন্তু সে পানি পানের অযোগ্য। তাঁর বাড়িতে ওয়াসার সরবরাহ সংযোগও নেই। তাই পানির সংকটে দিশাহারা পরিবারটি।
সম্প্রতি নাজিরপাড়া এলাকায় গিয়ে কথা হয় মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। পানির সংকটের কথা তুলে ধরে হতাশাই প্রকাশ করলেন তিনি। বলেন, বাড়ির পাশে আগে পুকুর ছিল। সেটি ভরাট হয়ে গেছে। খাওয়ার পানির জন্য ছিল নলকূপ। সেটিতেও পানি ওঠে না। পাইপ সংযোগ দেওয়ার জন্য ওয়াসাকেও কয়েকবার বলা হয়েছে, কিন্তু লাভ হয়নি। এখন কেনা পানিতে ধোয়ামোছা ও রান্নাবান্নার কাজ সারতে হচ্ছে।
ইত্তেফাক
থ্যালাসেমিয়া নিয়ে বছরে জন্ম নিচ্ছে ৬ হাজার শিশু
দুই বছর বয়সী আবদুল্লাহ আফ্রাদ। থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতালের বিছানায় নিশ্চুপ শুয়ে আছে, শরীরে দেওয়া হচ্ছে রক্ত। ছোট্ট আফ্রাদের শরীরে প্রতি মাসে বিঁধছে একাধিক সূচের আঘাত। তবেই ভালো থাকছে এবং বেঁচে থাকছে শিশুটি। আর এই দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখছেন শিশুর বাবা-মা। এক বছর বয়স থেকে এই রক্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিশুর বাবা মো. আমজাদ হোসেন ও মা সূবর্ণা ফরাজি জানান, বিয়ের আগে আমাদের কোনো চিকিৎসক এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। ভুক্তভোগী এই অভিভাবক জানান, স্কুল পর্যায়ে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে বাহক নির্ণয় হওয়া জরুরি; তাহলে কোনো বাবা-মাকে আর সন্তানের এই কষ্টদায়ক দৃশ্য চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে না।
সমকাল
ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চিতি ঘাটতি বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা
ইসলামী ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণে বড় অঙ্কের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকটি ২০ বছর সময় চেয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে। অর্থাৎ আগামী ২০ বছরে ধাপে ধাপে তারা ঘাটতি পূরণ করতে চায়।
দেশের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক এত বড় অঙ্কের প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েনি। ইসলামী ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে গত ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৪২ শতাংশ। পরিদর্শনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠানো তথ্যে ইসলামী ব্যাংক খেলাপি ঋণ দেখিয়েছিল এর অর্ধেকেরও কম। খেলাপি ঋণের প্রকৃত অঙ্ক বের হয়ে আসায় নিয়ম অনুযায়ী প্রভিশন সংরক্ষণের অঙ্কও বেড়ে গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকটির শুধু চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, পরিদর্শনে ইসলামী ব্যাংকের বিগত কয়েক বছরের পুঞ্জীভূত অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এতে ব্যাংকটির বিপুল পরিমাণের খেলাপি ঋণ উদ্ঘাটিত হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকটি সময় চেয়ে আবেদন করেছে।
