চট্টগ্রামে কার্ডিয়াক সোসাইটির সেমিনার

বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির উদ্যোগে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে সায়েন্টিফিক সেমিনার। রোববার (১১ মে) নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে হৃদরোগ চিকিৎসা ও গবেষণার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. মো. নুরুদ্দিন তারেক সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শফিউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুর রব, সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ এফ খবির উদ্দিন আহমেদ ও ট্রেজারার ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মাসুম।
আরও পড়ুন
ডা. কাজী শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক চৌধুরী, ডা. একেএম মনজুর মোরশেদ, ডা. প্রবীর কুমার দাশ, ডা. মো. হাসানুজ্জামান, ডা. এম এ সাত্তার, ডা. এম এ রউফ, ডা. আশিষ দে ও ডা. ফাইজুর রহমান।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও কার্ডিয়াক সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. ইব্রাহীম চৌধুরী, সদস্য সচিব ডা. এস এম ইফতেখারুল ইসলাম।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবু তারেক ইকবাল এবং চমেক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আনিসুল আউয়াল।
আলোচকরা বলেন, দেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাদের অনেকেই যথাসময়ে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হৃদরোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। চট্টগ্রামের মতো বড় শহরে এসব ঝুঁকি আরও বেশি। শুধু চিকিৎসা নয়, হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস বর্জন ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।
আয়োজকদের মতে, এ ধরনের সায়েন্টিফিক সেমিনার চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী আপডেট থাকতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ চিকিৎসা ও গবেষণায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাবে।
এমআর/এসএসএইচ