পরিবেশের ওপর অত্যাচার বিপর্যয় ডেকে আনছে

প্রকৃতির ওপর নানা ধরনের অত্যাচার করার ফলে ক্ষতিকারক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিপর্যয় ডেকে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
শনিবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে অনলাইনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত ‘তরুণ প্রজন্মের হাতেই প্রকৃতি ও পরিবেশের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সম্পদ আহরণের লোভে প্রকৃতিকে ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে সচেষ্ট হতে হবে। শিক্ষা সচেতনতার সঙ্গে আমাদের পরিবেশ সচেতনতার শিক্ষাও দরকার। বর্ণ পরিচয়ের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে পরিবেশ পরিচয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রকৃতিকে পুরনো সজ্জায় ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের বিভিন্ন উদ্যোগে তরুণরা এগিয়ে আসছে এটা আশা জাগানিয়া খবর।
আলোচনায় যুক্ত হয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান বলেন, এ মুহূর্তটি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। আমরা সময় ফিরিয়ে দিতে পারি না। তবে আমরা গাছপালা লাগাতে পারি, আমাদের শহরগুলো সবুজ করতে পারি, আমাদের বাগানগুলো পুনরায় নির্মাণ করতে পারি, আমাদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন করতে পারি এবং নদী ও উপকূল পরিষ্কার করতে পারি। জীবন ও জীবিকার জন্য প্রকৃতি ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ এবং সর্বস্তরের জনগণের বিশেষ করে যুব সমাজের সক্রিয় অংশ গ্রহণ।
আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় গাছের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কমিটি করে গাছ রক্ষা করা যেতে পারে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিকপণ্য পরিহার, পায়ে হাঁটাসহ বাইসাইকেল চালানো ইত্যাদি পরিবেশবান্ধব কাজে প্রণোদনা দিয়ে হলেও তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও যুক্ত ছিলেন বানিপার সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ রাসেল, বিজিএমইএর হেড অব সাসটেইনেবিলিটি (জয়েন্ট সেক্রেটারি) মনোয়ার হোসেন, পরিবেশ বার্তার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, পবার সম্পাদক ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, দি ডেইলি ইন্ডাস্ট্রির পরামর্শক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জীবন, গ্রিন ফোর্স সদস্য ফারজানা ইয়াসমীন পপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদের সভাপতি আবু সাদাত মো. সায়েম প্রমুখ।
আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পবার সম্পাদক মেসবাহ সুমন। প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান। আমাদের যত সমস্যাই থাক সম্ভাবনা অসীম। এ দেশের বড় সম্পদ তারুণ্যশক্তি। আমাদের তারুণ্যশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। দেশের ঐতিহাসিক সব অর্জনের সঙ্গে তরুণ সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা এখন জনসংখ্যা সুবিধা তত্ত্বের মধ্যে আছি। এই সুবিধা ১৫ থেকে ২০ বছর হয়ত থাকবে। আমাদের প্রতিবেশ ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে এসব সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারব না।
এমএইচএন/এসকেডি