কারিগরি ঝুঁকির মুখে ইসির তথ্যভান্ডার

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ কমছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, কোন খাতে কত
দেশে উন্নয়ন প্রকল্প নিতে সরকার যে ব্যয় করে, তা আগামী অর্থবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমছে। প্রায় সব খাতেই বরাদ্দ কমছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতও। যদিও আশা করা হয়েছিল, এবার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে এবং সেখানে বরাদ্দ বাড়বে।
উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায়। ৬ মে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বর্ধিত সভায় আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নতুন এডিপি পাস হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করবেন।
যুগান্তর
কারিগরি ঝুঁকির মুখে ইসির তথ্যভান্ডার
কারিগরি ঝুঁকির মুখে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার। প্রধান ডেটাবেজ হিসাবে ৫টি ‘ওপেনসোর্স ডেটাবেজ’ ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলোর কোনো এন্টারপ্রাইজ সাপোর্ট নেই। ডেটাবেজ ও অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারগুলোয় যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো পুরোনো বা অপ্রচলিত হয়ে গেছে। ফলে কোনো ‘ক্রিটিক্যাল ইস্যু’ তৈরি হলে কোনো এন্টারপ্রাইজ সাপোর্ট পাওয়া যাবে না। ১৮ বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা বিশাল এ তথ্যভান্ডারের বিকল্প হিসাবে সক্রিয় ‘ডিজাস্টার রিকভারি সিস্টেম’ (ডিআরএস) প্রতিষ্ঠা করেনি বিগত নির্বাচন কমিশনগুলো। ফলে ইসিতে স্থাপিত ডেটাবেজে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা নাশকতা হলে জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত সব সেবা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবে। ওই সময়ে ভোটার তালিকা প্রিন্ট করাও সম্ভব হবে না। এমনকি ভোটারদের তথ্য হারানোরও ঝুঁকি রয়েছে।
প্রথম আলো
আকর্ষণ হারাচ্ছে জাতীয় জাদুঘর, কমছে দর্শক
জাতীয় জাদুঘরের প্রতি আকর্ষণ কমছে দর্শকদের। ঢাকায় বেড়াতে আসা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে একসময় আকর্ষণীয় স্থান ছিল জাতীয় জাদুঘর। এখন সেই আকর্ষণ নেই। গত পাঁচ বছরে দর্শনার্থীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব জাদুঘর দিবস।
জাদুঘরের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস (আইকম) প্রতিবছর ১৮ মে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে জাদুঘরের ভবিষ্যৎ’। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে শোভাযাত্রা, এরপর সেমিনার ও নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে বিশেষ প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
বণিক বার্তা
বড় প্রকল্পে না হাঁটার অঙ্গীকার করলেও সে পথেই অন্তর্বর্তী সরকার
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই সভায় বলেছিলেন, ‘এখন থেকে মেগা প্রকল্প না নিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ছোট প্রকল্প নেয়া হবে।’ পরে বিভিন্ন সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও বড় প্রকল্প না নেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। অথচ গত ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি)’।
কালের কণ্ঠ
রাক্ষুসে ব্যাংক পরিচালকরা অধরা
ব্যাংকের টাকা সাধারণ গ্রাহকের। আর তা ‘রক্ষক হয়ে ভক্ষক’-এর মতো নির্বিচারে লুটপাট করেছেন মালিকরা। পরিচালকের তকমা লাগিয়ে এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়েছেন যোগসাজশ করে। নামে-বেনামে, ভুয়া নথিপত্র আর জাল দলিলে রীতিমতো ‘হাওয়া’ করে দিয়েছেন শতকোটি নয়, হাজার কোটি নয়; প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা।
বণিক বার্তা
এখনো প্রস্তুত নয় সিইটিপি বর্জ্যে ধলেশ্বরীর মরণদশা
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্পকে ২০১৭ সালে স্থানান্তর করা হয় সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্প নগরীতে। ৫৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে স্থাপিত সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় দূষিত পানি যাচ্ছে সরাসরি ধলেশ্বরী নদীতে। বিগত সরকারের সময়ে পরিবেশ আন্দোলন কর্মীদের নানা অভিযোগ ও আন্দোলনের পরও এ খাতের দূষণ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেই আন্দোলনকারীদের কয়েকজন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু তারা দায়িত্ব নেয়ার নয় মাসেও এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
মানবজমিন
৬০০০ লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের হদিস নেই
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের তিন মেয়াদে সারা দেশে ১৯ হাজার ৫৯৪টি অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছিল। এরমধ্যে ১০ হাজারের মতো অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল রাজনৈতিক বিবেচনায়। গণ-অভ্যুত্থানের পর এসব লাইসেন্স ও লাইসেন্সের বিপরীতে ইস্যুকৃত অস্ত্র নিয়ে নানা
সমালোচনা শুরু হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত বছর এসব লাইসেন্স বাতিল করে। তারপরই এসব লাইসেন্স ও অস্ত্র অবৈধ হয়ে যায়। লাইসেন্সের বিপরীতে যাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে তাদেরকে সেসব অস্ত্র থানায় জমা দেয়ার জন্য ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু লাইসেন্স স্থগিত করার পর থানায় জমা পড়েছে মাত্র ১৩ হাজার ৩৪৯টি অস্ত্র। এই হিসাবে ১৯ হাজার ৫৯৪টি লাইসেন্সের বিপরীতে ৬ হাজার ২৪৫টি অস্ত্র জমা দেয়া হয়নি। এসব অবৈধ অস্ত্র এখন কার কাছে আছে তারও কোনো হদিস নাই। ধারণা করা হচ্ছে এসব অস্ত্রের কিছুটা স্থগিত করা লাইসেন্সের মালিক ও কিছু অস্ত্র বিক্রি হয়ে যেতে পারে। এখন এসব অবৈধ অস্ত্র নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজকের পত্রিকা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড ছাড়াই জলাতঙ্কের টিকা ব্যবহার
দেশে দেড় দশক ধরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে বিনা মূল্যে টিকা দিচ্ছে সরকার। শুরুর প্রায় পাঁচ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রি-কোয়ালিফায়েড টিকা আমদানি করে দেওয়া হয়েছে। এক দশক ধরে দেওয়া হচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি টিকা। জানা গেছে, এক দশক ধরে দেশীয় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তৈরি র্যাবিক্স-ভিসি টিকা কিনছে সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবদেহে প্রয়োগ করা টিকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, জলাতঙ্কের বর্তমান টিকার প্রি-কোয়ালিফিকেশন না থাকলেও এটি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদিত।
দেশ রূপান্তর
ঘটনাটি ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবরের। সাত বছর সাত মাস পর আবার একই ঘটনা ঘটল। তাও আবার একই মডেলের ড্যাস-৮ এয়ারক্রাফটে। সেদিন এয়ারক্রাফটটি উড়েছিল সৈয়দপুর থেকে। গত শুক্রবার কক্সবাজার থেকে। দুবারই এয়ারক্রাফট থেকে চাকা খুলে পড়ে। প্রতিবারই এয়ারক্রাফটে ছিল ৭১ জন যাত্রী ও ক্রু। ক্যাপ্টেন ও পাইলটের দক্ষতায় প্রাণে বাঁচেন তারা।
সমকাল
ঢাকায় রাজউকের এক কর্মচারীর ৩৬ ফ্ল্যাট
‘আমি চাকরিজীবনে কারও ক্ষতি করিনি। বিভিন্ন সাংবাদিকের উপকার করেছি। বিভিন্ন সময় তিনজন সাংবাদিক আমাকে নিয়ে লিখেছেন। আল্লার কী খেল, তিনজনই অকালে মারা গেছেন।’
রাজধানীতে ৩৬টি ফ্ল্যাট থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিদর্শক কাজী আমীর খশরু এই বক্তব্য দিয়েছেন। দ্রুত তাঁর কাছে তিন সাংবাদিকের নাম জানতে চাওয়া হয়। তিনিও সঙ্গে সঙ্গে তিনজনের নাম জানালেন।
কালবেলা
কেন্দ্রের কারিশমায় জিপিএ ৫-এর জোয়ার
পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ানো ও বেশিসংখ্যক জিপিএ ৫ পেতে শিক্ষা বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের যোগসাজশে দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে উঠেছে। চক্রটি পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেয় এবং নকল সরবরাহ করে। ভেন্যু কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের খাতায় উত্তর লিখে দেওয়ার মতো গুরুতর ঘটনাও ঘটছে। এসব অনৈতিক সুবিধার কারণে বেসরকারি কিছু কলেজের পরীক্ষার ফলে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন দেখা গেছে।
সূত্র বলছে, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার তথ্য আসার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বোর্ডগুলোকে কেন্দ্রের ব্যাপক রদবদল এবং ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করার নির্দেশনা দেয়। এরই মধ্যে ঢাকা ও যশোর শিক্ষা বোর্ড ১০২টি ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করেছে। বাকিরা তালিকা প্রস্তুত করছে। সারা দেশে সাড়ে ৪০০ কেন্দ্র বাতিল এবং ১১০০ কেন্দ্র রদবদল হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তে এবারের ফলে ছন্দপতন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
