এস আলমের শেয়ার থেকে অর্থ উদ্ধার করে ডিপোজিটরদের স্বস্তি ফেরানো হবে

ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের অবরুদ্ধ শেয়ার থেকে অর্থ উদ্ধার করে ডিপোজিটরদের স্বস্তি ফেরানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ আইনগতভাবে পরিচালিত হবে এবং প্রয়োজনে সরকার সাময়িকভাবে শেয়ারের মালিকানা নেবে। এ টাকার পরিমাণ আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পাচার টাকা ফেরত আনার বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়, একটি বড় ব্যাংকের শেয়ারগুলো যে জব্দ করে রাখা হয়েছে, ওই ব্যাংকে বিদেশিদের ইনভেস্টমেন্ট ছিল বড় অঙ্কের, প্রায় ৭০ শতাংশ। ওইসব ইনভেস্টরদের আবার কি ফিরিয়ে আনার সুযোগ আছে কিনা?
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা জানি ইসলামিক ব্যাংক সবচেয়ে বড় ব্যাংক। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারী ছিল। ভালো পরিমাণ বিনিয়োগ ছিল। তারা বর্তমানে নেই, চলে গেছে। সেই শেয়ারগুলো এখন একই মালিকানাধীন ছিল সেগুলো এখন সরকারের কাছে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। এগুলো ট্রানজেকশন সম্ভব নয়। আইনগত প্রক্রিয়া আমরা যেটা করবো সেই গ্রুপের কত লোন আছে। সেই লোনের টাকা তো উদ্ধার করতে হবে। আমরা যদি তাদের বিনিয়োগ করা শেয়ার থেকে অর্ধেকের বেশি বের করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের কাজে লাগবে।
গভর্নর বলেন, আমরা মনে করি ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের যে শেয়ারটা আছে, এটার মূল্য হয়তো ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো হবে। এই টাকা যদি আমরা ব্যাংকে ফেরত দেই তাহলে ডিপোজিটর যাদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তাদের একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থানে যাবে। এবং ব্যাংকিং খাতটা ঘুরে দাঁড়াবে। হস্তান্তরের আগে সরকারকে মালিকানা টেম্পোরারি নিতে হবে। আরেকজনের মালিকানায় থাকাকালীন অবস্থায় এটি হস্তান্তর করা যাবে না। সেজন্যই আইননানুগ ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি।
ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।
এমএইচএন/জেডএস