উন্নত চিকিৎসায় ৭ ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ পাঠানো হলো থাইল্যান্ডে

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত হয়ে স্নায়বিক জটিলতা, প্যারালাইসিস ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভুগছেন এমন আরও সাত জন ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের ব্যাংককের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত যোদ্ধা ও তাদের পরিবার দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। আগামীতে আরও ২০ জনের বেশি আহত যোদ্ধাকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) থেকে এক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতাল (নিন্স) থেকে তিন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে দুইজন রয়েছেন।
এর মধ্যে বিএমইউতে চিকিৎসাধীন আব্দুল জব্বারের মূত্রথলির পাশে এখনো একটি বুলেট রয়ে গেছে। সিএমএইচের আশরাফুল পুরোপুরি প্যারালাইজড হয়ে পড়েছেন। তিনি ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ি এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হন। আর নিন্সে আহতদের এক তরুণের বাম পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে। অন্যরা সবাই স্নায়বিক জটিলতায় ভুগছেন, যা তাদের স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা ক্ষুণ্ন করেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখানে তাদের বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা এবং ছাত্র প্রতিনিধি নাদিয়া, নুসরাত ও ইমরান।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে ৪৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন। সর্বশেষ আলোচিত জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মন মুখের পুনর্গঠন সার্জারির প্রথম ধাপ শেষে গত ৭ মে রাশিয়া থেকে দেশে ফেরেন।
টিআই/এআইএস