প্রণোদনা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবি

করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবি জানিয়েছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। রোববার (৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। একই দাবিতে আগামী ১১ জুন (শুক্রবার) শাহবাগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি জনসমাবেশ করার ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবিলায় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আর্থ সামাজিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে কোভিভের বিস্তার রোধে সরকার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে, যা এখনো চলমান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের চাকরির পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। করোনা পরিস্থিতির জন্য এক বছরের বেশি সময় ধরে হাতেগোনা কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেটিও আবার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে। বিসিএস প্রিলিমিনারির মতো সামান্য কয়েকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে দেখা গেছে, এই প্রজন্মের অনেকেই তাদের জীবনের প্রায় দেড় বছর হারিয়ে ফেলেছেন।
চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হওয়ায় দেড় লাখ তরুণ-তরুণী (করোনার শুরুর সময়ে যারা ২৮+ বয়সের ছিল) চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ না পেয়েই ৩০-এর গণ্ডি পার করবে। করোনাকালীন এই ক্ষতি কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যে ছেলেমেয়েরা ২৬ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে, সেই করোনা শুরুর সময় থেকে আশায় বসে আছে চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবে, তারাও এই দেড় বছর হারাতে চলেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ ৮৭ শতাংশ কমে ১৩ শতাংশে উপনীত হয়েছে। দেড় লাখ পরীক্ষার্থী চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতা হারিয়েছেন এই করেনাকালীন অচলাবস্থার মধ্যে। যা এদেশের মূলধারার গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হচ্ছে। চাকরিতে আবেদনের বয়স স্থায়ীভাবে ২ বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করলে সবাই তাদের হারিয়ে যাওয়া সময় ২ বছর ফিরে পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশী তানভির হোসেন, সাজিদ রহমান, আনোয়ার সাকিন, লাবিব হাসান, রুবেল আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মারজিয়া সুলতানা, মাহমুদুল লিমন, সাদেকুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, মানিক রিপন, শারমিল পরী, নাজমুস সাকিব, আব্দুল্লাহ নোমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/জেডএস