গুলশান উত্তরা নীলক্ষেতে চালু ‘নাগরিক সেবা কেন্দ্র’, মিলবে ৮১টি সেবা

সরকারি সেবাকে নাগরিকদের কাছে আরো সহজলভ্য ও ভোগান্তিমুক্ত করতে রাজধানী ঢাকার গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেতে চালু হয়েছে ‘নাগরিক সেবা কেন্দ্র’। এখানে এক ছাদের নিচে মিলবে মোট ৮১টি নাগরিক সেবা। এরইমধ্যে গুলশান ও উত্তরা কেন্দ্র চালু হয়ে গেছে, আর নীলক্ষেতের কেন্দ্রটির উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে—শিগগিরই সেখানেও সেবা দেওয়া শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগানে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামের এই উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, পাসপোর্ট আবেদন, কর ফাইলিং, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা মিলছে এক জায়গায়।
তিনি আরো বলেন, নাগরিক সেবা কেন্দ্রে এই মুহূর্তে ৮টি বড় সেবাসহ মোট ৮১টি নাগরিক সেবা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে কেন্দ্র পরিদর্শন করে অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ জানাতেও অনুরোধ করেছেন তিনি।
এর আগে, সোমবার (২৬ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নাগরিক সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি বলেন, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে, হয়রানি রোধে ও সেবা সহজ করতে এই উদ্যোগ যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, সন্তান জন্মের পরই যেন জন্ম সনদ পায়—এমন একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। নাগরিক স্বীকৃতির প্রাথমিক দলিল হিসেবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)।
অন্যদিকে, শূন্য বাজেটেই এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, দেশের বিদ্যমান অব্যবহৃত সরকারি স্থাপনাগুলোকে আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেসে রূপান্তরের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তা নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে ২০০ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১০০ জনকে (নারী ৫০, পুরুষ ৫০) নির্বাচন করা হয়। তাদের ডিজিটাল লিটারেসি, গ্রাহক সেবা এবং সরকারি ডিজিটাল সেবা প্রদানে নিবিড় প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
আরএইচটি/জেডএস