টিকটকে পরিচয়, হোটেলে কথা কাটাকাটিতে প্রাণ যায় নারীর

রাজধানীর কমলাপুরের আবাসিক হোটেল সী ল্যান্ডে সুমি রানী রায় (৩৬) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি রুবেল (৩১)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় আসামির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৯ মে) কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর একটি দল।
র্যাব-৩ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সনদ বড়ুয়া জানান, গত ২৮ মে মতিঝিল থানার উত্তর কমলাপুরের আবাসিক হোটেল সী ল্যান্ডের ৬ষ্ঠ তলার (রুম নং-৫০৭) কক্ষ থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৯ মে) কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানাধীন এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
আরও পড়ুন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি জানান, দেড় বছর আগে আসামি ও ভিকটিমের টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয় সুবাদে তাদের মধ্যে একসময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে ভিকটিমের বোন গ্রেপ্তার ভিকটিমের দুটি সন্তান রয়েছে এবং ভিকটিম হিন্দু ও গ্রেপ্তার আসামি মুসলিম বলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে।
গ্রেপ্তার আসামি ভিকটিমের বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং আসামি ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে ভিকটিমের বোনকে জানায়। পরে গত ২৫ মে সুমি তার বোনকে জানায়, সে ও রুবেল ঢাকায় অবস্থান করছে। গত ২৭ মে ভিকটিম ও আসামি রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের আবাসিক হোটেল সী ল্যান্ডে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া নেন। পরে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তা ঝগড়াঝাঁটিতে রূপান্তরিত হয়।
এতে গ্রেপ্তার রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে ২৮ মে ভিকটিমকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হোটেল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
জেইউ/এসএসএইচ