সরকারি ব্যয়ের ২৮ শতাংশই যাবে সুদ ও বেতন-ভাতায়

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ, বাড়তে পারে দারিদ্র্য
মূল্যস্ফীতি কমানোই আগামী বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল—সব নিত্যপণ্যই বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে মানুষকে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। এতে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে।
২০২৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১০ মাস মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এখন অবশ্য তা ৯ শতাংশের ঘরে নেমেছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করায় সীমিত আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেকে ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছে।
বণিক বার্তা
মাছে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত মানবস্বাস্থ্য
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামের জিরু শেখ মাছ চাষ করছেন দেড় দশকের বেশি সময় ধরে। মাছের কোনো অসুখ দেখা গেলে বাজারের সাধারণ দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক এনে নিজেই প্রয়োগ করেন পানিতে। এজন্য কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। এভাবে ভুল অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে মাছের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বিষয়টি এরই মধ্যে প্রত্যক্ষ করলেও এর অন্যান্য প্রাণবিধ্বংসী প্রভাবের ব্যাপারটি অজানা তার।
আরও পড়ুন
আজকের পত্রিকা
বাজেটে বিলাসপণ্যে বাড়তি কর, ওষুধে ব্যাপক ছাড়
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। বাজেটে বড় ধরনের ছাড় থাকছে ওষুধ খাতে। এতে চিকিৎসা ব্যয়ে মিলবে স্বস্তি। এ ছাড়া চিনি, যানবাহন, পরিবেশবান্ধব পণ্যে কমছে শুল্ক। তবে বিপরীতে খেলনা, প্রসাধনীর মতো পণ্যে বাড়ছে শুল্ক।
কালের কণ্ঠ
দেশে কোরবানি দিতে একসময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মায়ানমারের ২২ থেকে ২৫ লাখ গরু আমদানি করতে হতো। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালে ভারত সরকার বাংলাদেশে গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ করলে বিপাকে পড়তে হয়। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের কোরবানিতে চাহিদার অতিরিক্ত ২০ লাখ ৬৮ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
দেশে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা এক কোটি ২৪ লাখ ৩৭ হাজার পশুর মধ্যে ৭০ শতাংশ সরবরাহ করা হবে দেশের তিনটি বিভাগ থেকে। দেশি পশুতেই কোরবানির অর্থনীতি ছাড়াবে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা।
কালের কণ্ঠ
সারা দেশে মাদক ব্যবসা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ। মাদক ব্যবসায়ীরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর চড়াও হতেও পিছপা হচ্ছে না। মাদকের টাকা জোগাড়ে মাদকাসক্তরা বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে।
এমনকি আপনজনকে খুন করতেও দ্বিধা করছে না।
পুলিশ বলছে, পরিবহনসংকটসহ আরো কিছু সমস্যার কারণে এখন টহলের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে দেশে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ঢুকছে। এতে মাদক কেনাবেচা বেড়ে গেছে।
সমকাল
ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপিসহ ১০ নিবন্ধিত দল
বিএনপিসহ ১০টি নিবন্ধিত দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। নির্বাচনের দিনক্ষণ স্পষ্ট করতে রোডম্যাপ চায় নিবন্ধিত চারটি দল। ছয়টি নিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক দল সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এবং চব্বিশের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দল দ্রুত নির্বাচন চায়। বাকি ১১ নিবন্ধিত দলের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল ছিল ৫৫টি। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ পাঁচটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। নিবন্ধন স্থগিত আছে আওয়ামী লীগের। ১২ দলীয় জোটসহ বিএনপির মিত্র আরও কয়েকটি অনিবন্ধিত দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। তবে এসব দলের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো।
প্রথম আলো
‘বৃষ্টির আশীর্বাদে’ ল্যাংড়া, আম্রপালিসহ আমের উৎপাদন ভালো
সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি এলাকায় প্রায় ৩০ বিঘার আমের বাগান বেলাল হোসেনের। সেই বাগান থেকে আমও পাড়া শুরু করেছেন। এ জেলায় আম পাড়া শুরু হয় সবার আগে। এবারও হয়েছে। তবে আমের দাম নিয়ে ততটা খুশি নন তিনি। কারণ, গত বছরের (২০২৪) চেয়ে এবার দাম কম পাচ্ছেন, দাবি তাঁর। উদাহরণ দিয়ে বেলাল বললেন, ‘গতবার গোবিন্দভোগ বেইচেছি মণপ্রতি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এবার তা ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০–এর মধ্যে বেচতি হচ্ছে। এবার ভালো দাম নেই কিন্তু বাগান কিনতি হয়েছে বেশি দরে।’
‘বাগান কেনা’ বলতে আম বাগানের মালিকের কাছ থেকে ভাড়ায় বাগান নেওয়া বোঝায়। গত বছর আমের বাজার ছিল চড়া। তাই এবার ভাড়া দেওয়ার সময় মালিকেরা ভাড়া হেঁকেছেন বেশি। বেলাল হোসেন এই ৩০ বিঘার প্লট কিনেছেন ৭ লাখ ২০ হাজার টাকায়। গতবার অন্য এলাকায় বাগান কিনেছিলেন। তখন দাম অন্তত ৩০ শতাংশ কম ছিল। এবারের এই বাড়তি ভাড়ার সঙ্গে বাগান পরিচর্যা, শ্রমিকের খরচসহ নানা খরচ আছে। কিন্তু সেই তুলনায় লাভ খুব বেশি হবে না, অন্তত আগাম জাতের আমে।
সমকাল
সরকারি ব্যয়ের ২৮ শতাংশই যাবে সুদ ও বেতন-ভাতায়
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চলতি বাজেটের চেয়েও ছোট বাজেট দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী অর্থবছর সরকারি ব্যয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকায় রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সার্বিক বাজেট ছোট হলেও সরকারি ব্যয়ের সুদ পরিশোধ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় বরাদ্দ প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের প্রায় ২৮ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক অর্থবছর থেকেই রাজস্ব সংগ্রহ ভাটায় আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না এবং বছর শেষে সরকারকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিতে হয়। দেশি-বিদেশি এ ঋণের বিপরীতে গুনতে হয় বড় অঙ্কের সুদ। এতে করে পরিচালন বাজেটের একক খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় সুদ পরিশোধে। আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের সুদ পরিশোধ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ খাতে ব্যয় আরও বেড়ে যেতে পারে।
আজকের পত্রিকা
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হবে। জুলাইয়ের ১ তারিখেও যাবে না। কিন্তু বিএনপির দাবি ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট হতে হবে। ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ব্যবধান ৬ মাস। এই ৬ মাসের দাবি ছাড়তে নারাজ উভয় পক্ষ। এ নিয়ে বাড়ছে বিরোধ। চলছে পাল্টিপাল্টি অভিযোগ। বিএনপি এটাও বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট না হলে, ভোট আর কখনোই হবে না।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১০ মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় ভর করেছে বিএনপির মনে। সেই থেকে আস্থাহীনতায় কোনো ছাড় দিতে চাইছে না দলটি। সরকার পক্ষও তাদের অবস্থানে অটল থাকায় অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে দুই পক্ষ। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে।
যুগান্তর
রাজধানীতে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে রাজধানীর সিংহভাগ এলাকার সড়ক ও ফুটপাত তলিয়ে যায়। অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করেন নগরবাসী। কিন্তু নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। সমস্যার সমাধানে কার্যকর অর্থে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ বিগত ৫ অর্থবছরে এ খাতে খরচ করেছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। খাল ও নর্দমার উন্নয়নকাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় সরকারের এ মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা গেছে-এমনটি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধার করতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি নগরীর নর্দমাগুলোও সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের উপযোগী করতে হবে। আর নর্দমা ও খালগুলোর সঙ্গে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর সংযোগ সৃষ্টি করা এ মুহূর্তে জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় বর্ষাকালে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পুনরাবৃত্তি হবেই।
বণিক বার্তা
পতিত সরকারের প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে সে দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি বা রাজনীতিকরাই গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে এসেছেন। নগর থেকে গ্রাম—সব ক্ষেত্রেই এ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়িত হয় ছোট-বড় নানা প্রকল্প। আর এসব প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ। মূলত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে নেয়ারও অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। একই পথে হাঁটছে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়া অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রণালয়টিতে পতিত আওয়ামী লীগ আমলে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
