জমে ওঠেনি ৩০০ ফিটের গরুর হাট, ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

কোরবানির ঈদের অল্প কয়েক দিন বাকি থাকলেও এখনও তেমন জমে ওঠেনি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে অবস্থিত গরু-ছাগলের হাটগুলো। ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন হাটের ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৩১ মে) সরেজমিনে ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেট সংলগ্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতার সমাগম খুব একটা নেই। দুই-একজন যারাই আসছেন, তারা দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যাচ্ছেন। তাছাড়া হাট পর্যাপ্ত বড় হলেও গরুর সংখ্যা তুলনামূলক কম।
ব্যাপারী সবুর মিয়া বলেন, হাটে এখনও তেমন গরু ওঠে নাই। কাস্টমারও তেমন একটা নাই। যারা আসতেছেন, তারা গরু দেখার জন্য আর দাম জানার জন্য আসতেছেন। আশা করছি ঈদের আগে আগে বিক্রি বাড়বে।
কুষ্টিয়া থেকে ৬ টি গরু এনেছেন ব্যাপারী কামরুল। তিনি বলেন, এখনও একটা গরুও বিক্রি হয় নি। হাটে ক্রেতা কম। ঈদের আগে গরুগুলো বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

তবে নীলা মার্কেটের চাইতে চিত্র কিছুটা ভিন্ন খিলক্ষেত গরুর মাঠে। পর্যাপ্ত গরু হাটে ওঠার পাশাপাশি ক্রেতারও সমাগম দেখা গেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন তা যথেষ্ট নয়।
সিরাজগঞ্জ থেকে ৮টি গরু হাটে এনেছেন ব্যাপারী আবুল কাশেম। তিনি বলেন, আমার সবগুলো গরুই উন্নত জাতের। যার মাংসও বেশি, স্বাদও ভালো। তবে এখন পর্যন্ত গরু বিক্রি হয় নি, হাটে ক্রেতা কম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত হওয়ার কারণে ক্রেতার সংখ্যা কম। তাছাড়া গরুর দামও অন্যতম একটি কারণ।
এবাররের হাটে লাখ টাকার নিচে গরু মেলা ভার। একটি ভালো মানের গরুর দাম রয়েছে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার আশেপাশে । তাছাড়া হাটে দেখা মিলেছে অস্ট্রেলিয়ান জাতের এক গরুরও। এক হাজার ৪০০ কেজি ওজনের বিশালকায় এ গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন
আগত ক্রেতা মনির হোসেইন বলেন, হাটে আসলাম, গরু দেখছি। তবে যে গরুই পছন্দ হচ্ছে, তার দাম লাখের ওপরে। হাটে আরও গরু আসুক, দেখা যাক দাম কিছুটা কমে কিনা।
আরেক ক্রেতা আতিকুল ইসলাম বলেন, ভালো গরুগুলোর দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা, এর বেশিও আছে। আমরা যারা কোরবানি দিতে চাই, তাদের জন্য এ দামটা কিছুটা কষ্টসাধ্য। তবুও আশা করছি সাধ্যের মধ্যে পেয়ে যাবো।
ওএফএ/এসআইআর