সিরাজুল আলম ছিলেন ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক

স্বাধীনতা আন্দোলন ও সশস্ত্র সংগ্রামের অন্যতম প্রধান সংগঠক এবং রাজনৈতিক তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খান দেশের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক ছিলেন। তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে এমন মন্তব্য করেছেন যুব বাঙালির নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৯ জুন) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দত্তেরহাটে অবস্থিত সিরাজুল আলম খানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে যুব বাঙালি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যুব বাঙালির নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক মশিউর রহমান মাসুম। এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমান দিপু, মোহাম্মদ রানা, মোহাম্মদ মিঠু, আল আমিন, নাজমুল, শিমুল মজুমদার, মোহাম্মদ খোকন, মোহাম্মদ আলী পারভেজ, মাহমুদুল হাসান বাবু, তৌফিকুজ্জামান পীরাচা, নাহিদুল ইসলাম ও কাজী তানসেন।
বক্তারা বলেন, সিরাজুল আলম খান স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে চাপিয়ে দেওয়া ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি স্বাধীন দেশের উপযোগী একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামো বিনির্মাণে ১৫ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।
তারা আরও বলেন, ১৯৭২ সালের পর থেকেই তিনি সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশের ভিত্তিতে শ্রম, পেশা ও কর্মজীবী জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সামাজিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।
প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সামাজিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে। তখনই সিরাজুল আলম খানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
আরএইচটি/এমএ