৩০ বছরেও স্বপ্নের নগরী হয়ে থাকলো পূর্বাচল প্রকল্প

ঢাকার ক্রমবর্ধমান আবাসন সংকট নিরসনে ১৯৯৫ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) হাতে নেয় পূর্বাচল নতুন শহর নামের মেগা প্রকল্প। কিন্তু প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটি আজও কেবল ‘স্বপ্নের নগরী’ হয়েই রয়ে গেছে। মৌলিক নাগরিক সুবিধার অভাব, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ও দীর্ঘসূত্রিতায় বিপর্যস্ত প্রকল্পটি এখন চরম হতাশায় ফেলেছে প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তদের। রাজউকও যেন এর সমাধানে ব্যর্থ।
৬ হাজার ১৫০ একর জমির ওপর ১৯৯৫ সালে শুরু হয় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ। শুরুতে বলা হয়েছিল, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ৩০টি সেক্টরের মধ্যে ২৬ হাজার আবাসিক প্লটের পরিকল্পনা থাকলেও এ পর্যন্ত হস্তান্তর হয়েছে ২১ হাজারের মতো। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে মাত্র ৩০০টির মতো প্লটে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বারবার পরিবর্তন এসেছে নকশায়। এ পর্যন্ত মোট ৫ বার নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭ দফা বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ, যার সর্বশেষ সময়সীমা ধরা হয়েছেছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
কেন বাসযোগ্য হয়ে উঠলো না পূর্বাচল?
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল রাজধানীর ওপর জনসংখ্যার চাপ কমিয়ে একটি পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব, আবাসিক-বাণিজ্যিক শহর গড়ে তোলা। যেখানে থাকবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো-প্রশস্ত সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পার্ক ও অফিস এলাকা। কিন্তু বাস্তবে এই স্বপ্নের নগরী বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি নানা সুদূরপ্রসারী সমস্যার কারণে।
প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি, রাজউকের প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং নগরপরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাসযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থতার পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে।

প্রথমত, প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণে চরম ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। কিছু প্রধান সড়ক নির্মিত হলেও, অভ্যন্তরীণ প্লটসংলগ্ন সংযোগ সড়কগুলোর অবস্থা এখনও শোচনীয়। অনেক রাস্তা এখনো কাঁচা বা ভাঙাচোরা, যা বর্ষাকালে একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ত, গণপরিবহন ব্যবস্থা অত্যন্ত সীমিত। ফলে যারা বসবাস শুরু করেছেন, তাদের অধিকাংশকেই ব্যক্তিগত যানবাহনের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
তৃতীয়ত, পূর্বাচলের অধিকাংশ এলাকায় এখনো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সুপেয় পানির সংযোগ নিশ্চিত করা যায়নি। হাতে গোনা কয়েকটি ব্লকে বিদ্যুৎ রয়েছে, তবে গ্যাস না থাকায় বাসিন্দাদের সিলিন্ডার গ্যাস বা বৈদ্যুতিক চুলার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সুপেয় পানির জন্য নিজস্ব গভীর নলকূপ স্থাপন করতে হচ্ছে, যা ব্যয়বহুল এবং পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও এখনও গড়ে ওঠেনি সেভাবে। বর্ষাকালে অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে, যার ফলে মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়া পূর্বাচলের অবস্থান ঢাকার মূল কেন্দ্র থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় যাতায়াতও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যোগাযোগ ও নাগরিক সেবা সংকটে বসবাস নিরুৎসাহিত
কুড়িল ফ্লাইওভারের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে পূর্বাচলের যোগাযোগ কিছুটা সহজ হলেও, প্রকল্প এলাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই দুর্বল যে অনেক সময় প্লট মালিকরা নিজেদের জমিতে যেতেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
এ ছাড়া পূর্বাচলে এখনো পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। হাতে গোনা কয়েকটি স্কুল ও কলেজ থাকলেও সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে অনেক অভিভাবককে সন্তানদের ঢাকার মূল শহর বা অন্য দূরবর্তী এলাকায় পাঠাতে হয়, যা তাদের জন্য আর্থিক ও মানসিক চাপের কারণ।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। পূর্বাচলে এখনো কোনো উন্নতমানের হাসপাতাল বা আধুনিক ক্লিনিক গড়ে ওঠেনি। ফলে বাসিন্দারা সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা বা জরুরি চিকিৎসার জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নির্ভরশীল।

জমি অধিগ্রহণ ও পরিকল্পনায় জটিলতা
প্রকল্প শুরু থেকেই জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ছিল নানা জটিলতা। রাজউক ও ভূমি মালিকদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব, ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিরোধ এবং প্লট হস্তান্তরে দীর্ঘসূত্রিতা প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর পাশাপাশি ছিল পরিকল্পনার দুর্বলতা। সুদূরপ্রসারী ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার অভাব এবং বারবার নকশা ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় পরিবর্তন প্রকল্পের গতি শ্লথ করেছে। পর্যাপ্ত সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ দীর্ঘ সময়েও এগোয়নি।
সাইদুর রহমান নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও পূর্বাচলের একজন প্লট মালিক বলেন, অবসরের পর এখানে শান্তিতে থাকার স্বপ্ন নিয়ে প্লট কিনেছিলাম। ভেবেছিলাম, শেষ জীবনটা শান্ত পরিবেশে কাটাবো। কিন্তু আজ ৩০ বছর পরও আমার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। এখানে গ্যাস নেই, সুপেয় পানি নেই, বাচ্চাদের খেলার মাঠ নেই। মনে হয়, সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে কেনা প্লটে আর বাড়ি করা দেখে যেতে পারবো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী এখানে দ্বিতীয় পক্ষের মাধ্যেমে প্লট কিনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমার প্লটে বাড়ি করতে চেয়েছি কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট ঠিক নেই, তাই নির্মাণ সামগ্রী আনাও কঠিন। নিরাপত্তার অভাবও একটি বড় সমস্যা। দিনে-দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে রাজউক সব প্রস্তুতি শেষ করার আগ পর্যন্ত বাড়ি করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না। শত শত প্লট মালিক চান তাদের নিজেদের প্লটে বাড়ির কাজ শুরু করতে কিন্তু রাজউকের অগ্রগতি না থাকায় আমারা বাড়ি করা শুরু করতে পারছি না।
অগ্রগতি যা হয়েছে
রাজউক সূত্র বলছে, পূর্বাচল প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১০ কিলোমিটারে কাজ চলছে এবং অবশিষ্ট ৪০ কিলোমিটার সড়ক এখনো প্রাক্কলন পর্যায়ে রয়েছে। কুড়িল ইন্টারচেঞ্জসহ ১৩.৩৩ কিলোমিটার লিংক রোডে আটটি সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে। ৩০০ ফিট প্রশস্ত সংযোগ সড়কটি এখন যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত।

এছাড়া প্রকল্পের ৫২টি সেতুর মধ্যে ৪২টির নির্মাণ শেষ হয়েছে, বাকি ১০টি সেতুর কাঠামোগত কাজ আংশিক বাকি রয়েছে। পাশাপাশি, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে। ৪৩ কিলোমিটার লেকের মধ্যে ২৮ কিলোমিটারের উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে; বাকি ১৫ কিলোমিটারের কাজ এখনও চলমান।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বিন্যাস
রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আবাসিক প্লট মোট ২৬ হাজার ২১৩টি। যার মধ্যে তিন কাঠা আয়তনের ১১ হাজার ২০৯টি, পাঁচ কাঠা আয়তনের ১০হাজার ৩৬১টি, ৭.৫ কাঠা আয়তনের দুই হাজার ৬১৮টি, ১০ কাঠা আয়তনের প্লট দুই হাজার ২৫টি।
এছাড়া অন্যান্য প্লট আছে তিন হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে কম-বেশি আয়তনের ১৫টি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, প্রশাসনিক ৪৭২টি, বাণিজ্যিক এক হাজার ৩৩টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আরবান ফ্যাসিলিটিস প্লট দুই হাজার ৪৩টি।
অন্যদিকে, অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তদের বরাদ্দ দেওয়া প্লটের সংখ্যা সাত হাজার ৮৬৪টি।
রাজউকের আশ্বাস বনাম বাস্তবতা
রাজউক কর্তৃপক্ষ প্রায়ই পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে আসছে। প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ চলমান বলেও দাবি করা হয় তাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় রাজউকের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন অনেক প্লট মালিক।
পূর্বাচল প্রকল্প আজ একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিন্তু অপূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরপরিকল্পনাবিদদের মতে, এই বিশাল বিনিয়োগকে অর্থবহ করতে হলে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে নাগরিক সেবা, সড়ক, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগসহ অবকাঠামোগত কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। সেই সঙ্গে প্লট মালিকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যথায় ‘স্বপ্নের নগরী’ পূর্বাচল কেবল একটি অধরা স্বপ্ন হিসেবেই থেকে যাবে আরও বহু বছর। অবিলম্বে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে পূর্বাচলের এই দুঃস্বপ্ন সহজে কাটবে না।

এ প্রকল্পের অধিকাংশ প্লট মালিক এখনো সেখানে বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করছেন না। তাদের মতে, এখনো পূর্বাচল বসবাসের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠেনি। ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নেই বললেই চলে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়- কবে প্রকৃত অর্থে বসবাসযোগ্য হবে পূর্বাচল? কবে নিজের বাড়িতে থাকতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন প্লট মালিকরা।
‘স্বপ্নের নগরী’ এখন ঝোপঝাড়ে ঘেরা
পূর্বাচল প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পড়ে আছে হাজার হাজার ফাঁকা প্লট। কোথাও কোথাও অনেক দূর পর পর দু-একটি প্লটে আধা নির্মিত কিংবা নির্মাণাধীন ভবন দাঁড়িয়ে আছে নির্জনভাবে। কিছু প্লটে গড়ে উঠেছে টিন ও কাঠের অস্থায়ী ঘর, যেগুলো নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের থাকার জায়গা হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
বড় বড় বেশ কিছু প্লটে গজিয়েছে ঝোপঝাড়, পরিত্যক্ত জায়গায় চাষাবাদ হচ্ছে শাকসবজি কিংবা মৌসুমি ফসল। খুবই অল্পসংখ্যক বাড়ি সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ হয়ে সেখানে পরিবার নিয়ে মানুষ বসবাস শুরু করেছেন। তারা নানা সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই, মানুষ বসবাস করছেন।
এখনো প্রকল্প এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। বেশির ভাগ রাস্তাই এখনো কাঁচা বা নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে। পথঘাটে নেই পর্যাপ্ত বাতির ব্যবস্থা, ফলে রাতের বেলায় এলাকা ঘোর অন্ধকারে ঢেকে যায়।
নিরাপত্তার দিক থেকেও রয়েছে বড় ঘাটতি। প্রকল্প এলাকায় কোনো পূর্ণাঙ্গ থানা নেই, নেই কোনো স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি। ফলে প্লট মালিক বা অল্পসংখ্যক বসবাসকারী সবাই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউড অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) সভাপতি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে প্লট গ্রহীতারা বাড়ি বানাবেন না এটাই স্বাভাবিক। নিজেদের সক্ষমতা আগেই বিশ্লেষণ করা উচিত ছিল রাজউকের। পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ সর্বোচ্চ ১০ বছরের মধ্যে শেষ করা উচিত ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রকল্পের কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। এছাড়া বারবার প্রকল্পের নকশার পরিবর্তন করা হচ্ছে এসব কারণে দীর্ঘ সময়েও বাসযোগ্যতা আসেনি পূর্বাচলে, এটার দায়ভার রাজউককেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রথম দিকে এটার নাম ছিল নিউ টাউন। আসলে নিউ টাউনটা হবে যেটা বড় টাউন থেকে দূরে এবং মাঝখানের জায়গাগুলোতে গ্রামীণ এরিয়া আছে। ঢাকা শহর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত অনেকাংশে নগরায়ন হয়ে গেছে। এর কারণ হচ্ছে, পূর্বাচল মার্কেটে আসতে দেরি করেছে। আর এর মধ্যে রিয়েল এস্টেট, আবাসন কোম্পানিগুলোও বাধাহীনভাবে শহরকে এক্সটেন্ড করেই যাচ্ছে। পূর্বাচলে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টের বাইরের অবকাঠামোগত যে উন্নয়নের কথা ছিল (সড়ক, অবকাঠামো, গ্যাস, পানি ইউটিলিটি সার্ভিস) সেগুলো হতে অনেক দেরি হওয়াতে পূর্বাচলের ডেভেলপমেন্ট এখনও হয়নি।
এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পূর্বাচলকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাসযোগ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পূর্বাচল নতুন শহরকে অতিদ্রুত একটি সুন্দর, বাসযোগ্য এলাকা হিসেবে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজউক কাজ করে যাচ্ছে। পূর্বাচল প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছয় মাসের মধ্যে পূর্বাচলকে বাসযোগ্য করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এএসএস/এমএসএ
