৮৮ ভাগ মামলায়ই খালাস আসামিরা

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
দলটির সভাপতি স্বামী, সম্পাদক স্ত্রী, বাসা কেন্দ্রীয় কার্যালয়
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি। ইসিতে জমা দেওয়া আবেদনে দলের কার্যালয়ের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার মগবাজার ৬৩৯/বি, পেয়ারাবাগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ দেয়ালের ওপরে টিনের ছাউনির এক কক্ষের একটি ছোট্ট ঘর।
ঘরে কেউ আছেন—অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া গেল না। পরে দলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন প্রথম আলোর প্রতিবেদক। ফোন ধরেন এক নারী। তিনি নিজেকে জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা বলে পরিচয় দেন। তাঁর স্বামী বাসায় আছেন বলে জানান। এরপর ঘরের দরজা খুলে গায়ে গামছা জড়িয়ে বেরিয়ে আসেন বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর হাওলাদার।
যুগান্তর
মব ভায়োলেন্স দমবে না কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই এখন আতঙ্কের নাম মব ভায়োলেন্স। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন-এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নিরপরাধ ব্যক্তিও মব ভায়োলেন্সের শিকার হচ্ছেন। ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে দল বেঁধে কারও বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি, টেনেহিঁচড়ে এনে নির্যাতন করা এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এতে ছড়াচ্ছে উদ্বেগ। এমনকি আসামিকে আদালতে তোলার সময়ও মব সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটছে।
দেশ রূপান্তর
আক্কাসুর রহমান প্রায় এক বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যান ভারতের ত্রিপুরায়। দুদিন আগে আক্কাসের পরিবারসহ ১২ রোহিঙ্গাকে মৌলভীবাজারের কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি বলে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ)। তাছাড়া চারজন বাংলাদেশিকেও একই সময় ঠেলে পাঠানো হয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক আখ্যা দিয়ে পুশইন করেছে ভারত।
গত তিন মাসে দেড় হাজারের বেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করা হয়েছে। তার মধ্যে একশর বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে বলে পুলিশের একটি গোপন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। মিয়ানমার থেকে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা ভারতের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে গেছে বলে তথ্য এসেছে।
যুগান্তর
ঢাকার অধস্তন আদালতে মে মাসে ফৌজদারি অপরাধের ৮৮ শতাংশ মামলায় খালাস পেয়েছেন আসামিরা। সাজা হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ মামলায়। ধর্ষণ, হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো স্পর্শকাতর অপরাধের সঙ্গে জড়িতরাও পার পেয়ে যাচ্ছেন। মামলার তদন্তে দুর্বলতা, সাক্ষীর অভাব, দীর্ঘ প্রক্রিয়া, নানাভাবে সময়ক্ষেপণ ও প্রসিকিউশনের দুর্বল ভূমিকার জন্য এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন আইনজীবী ও অপরাধ বিশ্লেষকরা। তাদের শঙ্কা, এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিচারব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা হারাবে এবং অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রতিমাসে ফৌজদারি মামলার রায় নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রথম আলো
গুমে রাজি না হওয়া কর্মকর্তাদের তথ্যও যেত শেখ হাসিনার কাছে
গুম–খুনের ঘটনায় জড়াতে কোনো কোনো কর্মকর্তা যে অস্বীকৃতি জানাতেন, এমন তথ্যও পেয়েছে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। এমনকি এ ধরনের কর্মকর্তাদের তথ্য বা অস্বীকৃতি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তাঁদের লেখা চিঠি সরাসরি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছানো হতো বলে কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আজকের পত্রিকা
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই: নিম্নমানের ১৫ লাখ বইয়ে চলছে পড়া
চলতি শিক্ষাবর্ষে দরপত্রের শর্ত পূরণ না করে ১৫ লাখের বেশি নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে। বিনা মূল্যের এসব বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণও হয়েছে। নিম্নমানের এসব বই ছাপানোর সঙ্গে জড়িত ২৯টি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান।
বিনা মূল্যের ছাপানো পাঠ্যবইয়ের মান যাচাইয়ের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান হাই-টেক সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। সারা দেশের মাঠপর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্টের পর এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ১৮ জুন বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণকারী সংস্থা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রথম আলো
বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসন: উপদেষ্টা কমিটি নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) যে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের প্রচারযন্ত্রে পরিণত হয়েছিল, সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই।
এরশাদ সরকারের আমলে বিটিভির নাম হয়েছিল ‘সাহেব বিবি গোলামের বাক্স’। কারণ, তখন বিটিভির প্রধান বিষয়বস্তু ছিল এরশাদ, তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ ও মন্ত্রীদের সংবাদ। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ আমলে বিটিভি পরিচিতি পেয়েছিল ‘বাতাবিলেবু’ টিভি নামে। কারণ সরকারের উন্নয়ন প্রচারই ছিল বিটিভির প্রধান কাজ।
সমকাল
অবকাঠামো অপ্রতুল, ঝুঁকিতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বাড়ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল। বাংলাদেশেও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ দেশের জ্বালানি চাহিদার প্রায় পুরোটা আমদানিনির্ভর। অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি সংরক্ষণ অবকাঠামো পর্যাপ্ত হলে যুদ্ধের মতো আপৎকালে দাম ও সরবরাহ-সংক্রান্ত সংকট মোকাবিলা করা সহজ হয়। কিন্তু বাংলাদেশের জ্বালানি অবকাঠামো খুবই অপ্রতুল। জ্বালানি তেল মজুতের সক্ষমতা রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের। আর এলএনজি মজুতের সক্ষমতা মাত্র দুই থেকে তিন দিনের। ফলে বৈশ্বিকভাবে কোনো সংকট হাজির হলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যায়।
কালের কণ্ঠ
১২ দিন পর যুদ্ধবিরতি, বিশ্বজুড়ে স্বস্তি
মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান ও ইসরায়েল ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের অবসানে একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় ইরান ও ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ইরানের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তেহরানে ‘তীব্র’ হামলার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। যদিও তেহরান এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
কালবেলা
দুর্নীতির অলরাউন্ডার ছিলেন পাপন
দেশের তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটের ‘অন্যতম ধনী সংস্থা’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অডিট রিপোর্ট বলছে, বিসিবি ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের জুলাই পর্যন্ত ব্যয় করেছে ২ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। এই এক যুগে বিসিবির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এবং যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। আর বিপুল এই অর্থ খরচের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলেন পাপন। সঙ্গে ছিলেন তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। প্রাপ্ত নথি বলছে, বিসিবিতে শুধু চুরি নয়; হয়েছে সাগরচুরি। যেমন শুধু বল কিনে ব্যয় করেছে ৯২ কোটি টাকা, আবার তেমনি বোর্ড সভায় ১৯ কোটি, সাধারণ সভায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ‘খরচ’ করা হয়েছে। তারপরও গায়েব হয়ে গেছে বিপিএলের হিসাবে থাকা ১১৩ কোটি টাকা।
