খিলগাঁওয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমানে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া মধ্যপাড়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে তানিয়া আক্তার (২৪) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মা মাজেদা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে খিলগাঁও মডেল কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। আমার মেয়ের অনেক জেদি। তাকে কোনো কিছু বলা যায় না। দুপুরে রুটি বানানো নিয়ে আমার সঙ্গে রাগারাগি হয়। এরপর সে নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। পরে দরজা ভেঙে আমি ও আমার স্বামী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঢাকা মেডিকেলে ছুটে আসি। আমার বাবা একজন মুদি দোকানি। অনেক কষ্ট করে তাকে পড়ালেখা করানো হচ্ছে। কি এমন কথা হলো মায়ের সঙ্গে রাগ করে গলায় ফাঁস দিয়ে দিল।
তিনি জানান, তারা খিলগাঁও মেরাদিয়া মধ্যপাড়ার ১৫/১/৫ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. নাজির হোসেন।
জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, খিলগাঁও থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া এক কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। আনার পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা খিলগাঁও থানাকে খবর দিয়েছি। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।
এসএএ/এসএসএইচ