অর্ধেক শিক্ষকে চলছে মেডিকেল

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
তরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মব (সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) নিয়ে উদ্বিগ্ন তরুণেরা। তাঁরা চান সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। সংস্কারের ক্ষেত্রেও তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শ্রমবাজারকে অগ্রাধিকারে দেখতে চান।
তরুণদের এই মনোভাব উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশনএইডের একটি জরিপে। জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা–সম্পর্কিত এই জরিপ গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়।
কালের কণ্ঠ
শাহজালাল সার কারখানায় হাজার কোটি টাকার গলদ
প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচে নির্মিত হলেও বছরের পর বছর বন্ধ থেকেছে শাহজালাল সার কারখানা। কখনো গ্যাস নেই, কখনো যন্ত্রপাতির ত্রুটি, আবার কখনো কোনো কারণই জানে না কর্তৃপক্ষ। ব্যয়ের পাহাড় গড়ে তোলা এই ‘মেগাকারখানা’টি বাস্তবে যেন এক ‘মেগাব্যর্থতা’র নাম। এক হাজার দিনের বেশি সময় বন্ধ ছিল এই কারখানার উৎপাদন, অথচ কাগজে সব ঠিক! তদারকি নেই, প্রযুক্তি বাছাইয়ে গাফিলতি, গ্যাস সরবরাহে চরম নির্ভরতা এবং অপরিকল্পিত যন্ত্রপাতির ব্যবহার—সব মিলিয়ে দেশের অন্যতম ব্যয়বহুল প্রকল্পটি এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রের ঘাড়ে।
যুগান্তর
টানা ৬১ দিন ধরে চলা এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে ছিল সরকারবিরোধী এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র। যাকে এনবিআরসংশ্লিষ্ট অনেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে কাশিমবাজার কুঠিতে বসে মীরজাফরদের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের মতে, এ আন্দোলনের উপরি ভাগে ছিল ন্যায়সংগত ‘সুশীল মোড়কে’ মোড়ানো কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের পক্ষে বিশাল এক বয়ান। কিন্তু অন্তরালে ভর করে ভিন্ন উদ্দেশ্য। এ সেক্টরের সাধারণ কর্মকর্তাদের আবেগ আর বিশ্বাসকে পুঁজি করে রাজস্ব সেক্টরকে কার্যত অচল করে দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে চক্রটি সরকার উৎখাতের রোডম্যাপ সূচনা করতে চেয়েছিল। সম্প্রতি আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর চক্রান্তের নানা তথ্য-উপাত্ত সামনে আসছে।
আরও পড়ুন
সমকাল
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস-ফেলের খেলা
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ জুন প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, একই দিন ও একই বিষয়ে কোনো কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনই ফেল করেছেন। আবার অন্য বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন পাস করেছেন। এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনাকে ভূতুড়ে, গোঁজামিল ও অযৌক্তিক বলছেন প্রার্থীরা।
বোর্ডভিত্তিক ফলে ব্যাপক বৈষম্য দেখা যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীরা। তারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ফল পুনর্মূল্যায়ন ও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীতে আন্দোলন করছেন তারা।
বণিক বার্তা
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের চুক্তি হওয়া নিয়ে উদ্বেগ ও সংশয়
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল উচ্চ হারে পারস্পরিক বা পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন তিনি, যে সময়সীমা শেষ হবে আগামীকাল ৯ জুলাই। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দরকষাকষি শুরু হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকেও রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বিষয়ক বাণিজ্য চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে দেশটি। কিন্তু ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি হওয়া নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
আজকের পত্রিকা
বর্তমানে দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেকই (৪২%) ভর্তি হচ্ছে সরকারি কলেজগুলোতে। অথচ বিদ্যমান ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষকের তীব্র সংকট চলছে। বিশেষ করে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকসহ মোট পদের ৪৩ শতাংশই খালি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এতে শিক্ষার্থীদের শিখন ও প্রশিক্ষণে ঘাটতি থাকছে। মানসম্মত চিকিৎসক তৈরিতে থেকে যাচ্ছে বড় ধরনের দুর্বলতা।
কালবেলা
মশা নিধন চোখে পড়ে না, চিকিৎসা নিয়ে কত কিছু!
ডেঙ্গু এখন শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। আগে বর্ষার পূর্বেই মশা নিধনের কর্মসূচি চোখে পড়ত, এখন সেটা চোখে পড়ে না। রোগী বাড়তে থাকলে হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো, ওষুধ মজুত, ডাক্তার-নার্স আনা, ফি নির্ধারণ—সবই হয় দ্রুত। এ ব্যাপারে চিকিৎসা নিয়ে কিছু বিষয় দৃশ্যমান হলেও মশা মারার দিকে নজর ততটা নেই। ফলে মশার উপদ্রবে নাজেহাল নগরবাসী। মশক নিধনে কোনো কাজ করছে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই বাসাবাড়িতে মশা কামড়ায়। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দাবি, মশা নিধনে তারা নিয়মিত ওষুধ ছিটান। কিন্তু যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে, তা নিধনে সিটি করপোরেশনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার পরও তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে মশা নিধনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
