সাত ঘণ্টা পর বনানীর সড়ক ছাড়লেন সিএনজি চালকরা

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা পর রাজধানীর বনানীর সড়ক ছেড়েছেন আন্দোলনরত সিএনজি চালকরা। এতে ওই পথের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে সিএনজি চালকদের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সদর দপ্তর আছেন।
রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
তিনি জানান, সেনাবাহিনী সন্ধ্যায় ৭টার দিকে আমাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের নিয়ে বিআরটিএ অফিসে এসেছেন। আমাদের সঙ্গে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। এখন তারা আলোচনা করছেন, আমরা অপেক্ষায় আছি।
ঘণ্টাখানিক আগে গুলশাল ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, বনানী বিআরটিএ’র সামনের সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিআরটিএর সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। তাদের উপস্থিতিতে বাড়তে থাকলে দুপুর ১২টার কিছু সময় পর থেকে প্রধান সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে মহাখালীগামী সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তপ্ত রোদের মধ্যে দুর্ভোগে পড়েন ওই পথের সাধারণ যাত্রীরা।
সেসময় আন্দোলনকারীরা জানান, ঢাকা জেলার ২ থেকে ৩ হাজার গাড়ি (সিএনজি) মহানগরে চালানোর জন্য আমরা বারবার স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু বিআরটিএ বারবার আমাদের মিথ্য আশ্বাস দিয়েছে। গত ২০১৬ সালে আমাদের ২৬টি ইউনিয়ন কেটে নিয়ে ওয়ার্ড বানিয়েছে। মহানগর বড় বানিয়েছে। তাহলে আমরা যাবো কোথায়। এখন আমার জায়গায়, আমাকে বলে অবৈধ।
এমএইচএন/এমএ