আদাবরে গাড়িচালককে গুলি করে হত্যা, গণপিটুনিতে আহত ২

রাজধানীর আদাবরের নবোদয় হাউসিংয়ের ৭ নম্বর রোডে ব্যবসায়িক দ্বন্দের জেরে ইব্রাহিম (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গণপিটুনিতে রুবেল (৩৫) ও সজীব ( ৩২) নামে দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন।
নিহত ইব্রাহিম নবোদয় হাউসিংয়ের ৬/এ রোডের ১০ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় থাকতেন। তিনি ভোলার মুজিবনগর এলাকার কালু শিকদারের ছেলে ছিল।
আরও পড়ুন
পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং এলাকায় ডিমের ব্যবসা কেন্দ্র করে ইব্রাহিম নামে এক গাড়িচালককে সজীব নামের এক ডিম ব্যবসায়ী গুলি হত্যা করেছেন।
এ সময় লোকজনের সহায়তায় সজীব ও রুবেল নামে দুইজনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়। হঠাৎ করে উত্তেজিত জনতা সজীব ও রুবেলকে গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে। তখন যৌথবাহিনী উত্তেজিত জনতার হাত থেকে দুজন আসামিকে উদ্ধার করে এবং নিহত ব্যক্তির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
জানা যায়, সজীব ও রুবেল দুজনেই ডিমের ব্যবসা করতো। ইব্রাহিমের ভাতিজা সজীব ও রুবেলের ডিমের আরতে কাজ করতো।গত কিছুদিন ধরে ইব্রাহিমের ভাতিজার মধ্যে বিভিন্ন দায়দেনা এবং হিসাব নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। সে বিষয়গুলো সমঝোতা করার জন্য আজ তারা একটি মিটিংয়ে বসে ছিল। হঠাৎ তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হলে সজীব তার কোমর থেকে একটি পিস্তল বের করে ইব্রাহিমের বুকে গুলি করে। সাথে সাথেই ইব্রাহীমের মৃত্যু হয়। সজীব এবং রুবেল আপন দুই ভাই।
ঘটনাস্থল থেকে একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৭.৬৫ পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজা গুলি এবং ফায়ার করা গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনিতে আহত দুজনকেই আদাবার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জানান, নিহত ইব্রাহিম পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন। তার ভাতিজা রুবেল ও সজীবের ডিমের আড়তে কাজ করতেন। ইব্রাহিমের ভাতিজাকে নিয়ে আজ ৭ নম্বর রোডের এ ব্লকে রুবেল ও সজীবের সাথে একটি ইন্টারনেট অফিসে বসে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সজীব অস্ত্র বের করে ইব্রাহিমকে গুলি করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা আপন দুই ভাই রুবেল ও সজীবকে গণপিটুনি দেয় এবং তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল গুলিসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।ইব্রাহিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এসএএ/এসএম/এমজে/আরএআর