মৃত্যু বাড়ছে ইজি বাইকে

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
বিজ্ঞাপন
প্রথম আলো
সবচেয়ে বেশি মৃত্যু শ্রমজীবীদের
বিজ্ঞাপন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। কমপক্ষে ২৮৪ জন শ্রমজীবী মানুষ গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন।
দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, ট্রাকের চালক–সহকারী, দোকানের কর্মী, রেস্তোরাঁর কর্মচারী ও পোশাক কারখানার কর্মীদের মতো আনুষ্ঠানিক–অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকেরা গণ–অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন। সরকারি গেজেটে শহীদদের তালিকায় যে ৮৪৪ জনের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে ৮১০ জনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছে প্রথম আলো। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।
বিজ্ঞাপন
আজকের পত্রিকা
নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা প্রতি ২৪ মিনিটে একটি
দেশের থানাগুলোতে ৫ মাস ধরে প্রতি মাসে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে। সেই হিসাবে দিনে ৬০টি এবং প্রতি ২৪ মিনিটে একটি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের অনেক ঘটনায়ই মামলা হয় না—এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে অপরাধের প্রকৃত মাত্রা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৯ হাজার ১০০ নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী অপরাধগুলোর বড় অংশই ঘটেছে বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে।
বণিক বার্তা
হিসাব পদ্ধতির পরিবর্তনে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা
অর্থের প্রয়োজন মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আগাম আর্থিক সুবিধা নেয় সরকার। এটি সরকারের দায় হলেও এতদিন অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেয়া ঋণের হিসাবে তা দেখানো হতো না। ফলে সরকারের গ্রহণ করা ঋণের প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। তবে সম্প্রতি হিসাব পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া আগাম আর্থিক সুবিধাকেও সরকারের ঋণ হিসেবে দেখিয়েছে অর্থ বিভাগ। নতুন হিসাব পদ্ধতিতে এক অর্থবছরেই সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন
যুগান্তর
এখনো অধরা চিহ্নিত ২৭ অস্ত্রধারী
জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা অন্তত অর্ধশত অস্ত্রধারীর মধ্যে ৪৬ জনকে শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর সিএমপির ক্রাইম ডিভিশন এই অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ের অভিযানে র্যাব এবং পুলিশ মিলে ১৯ জনকে গ্রেফতার করে। বাকি ২৭ জনই রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতার হওয়া অস্ত্রধারীদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ছাড়া ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া চট্টগ্রামের ৮টি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের এখনো ১৫৬টির হদিস মিলছে না। সবমিলিয়ে এখনো পর্যন্ত অস্ত্রের ঝনঝনানি রয়েই গেছে।
কালের কণ্ঠ
সড়কে প্রতিদিন প্রাণহানি বাড়ছেই। এর বড় কারণ ব্যাটারিচালিত ইজি বাইকসহ তিন চাকার বাহন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তিন চাকার এই বাহন বাড়ছেই। এ ধরনের বাহনের নিবন্ধন নেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।
সমকাল
যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা ছাড়ছেন ঢাকার ধনকুবেররা
ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের মুখে পড়া বাংলাদেশি ধনকুবেররা যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ নিয়ে গার্ডিয়ান গতকাল শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গার্ডিয়ান জানায়, গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকায় তদন্তাধীন কয়েকজন বাংলাদেশি ধনকুবের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর বা পুনঃঅর্থায়ন করছেন। তাদের লেনদেনগুলোর কারণে যুক্তরাজ্যের আইনি সংস্থা (ল ফার্ম) ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লন্ডনে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া এবং লেনদেনগুলো সহজ করতে সাহায্য করেছে।
কালের কণ্ঠ
দেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ফলে উদ্বেগ আর শঙ্কা থেকে কিছুতেই বের হয়ে আসতে পারছেন না শিল্পোদ্যোক্তারা। দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও মূল্যস্ফীতি, টাকার অবমূল্যায়ন, ডলার সংকট এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার জন্য অনেকে নতুন বিনিয়োগে পিছপা হচ্ছেন।
যুগান্তর
ভুল সিদ্ধান্তে যেন ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়
কোনো আবেগতাড়িত কিংবা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে যেন চরমপন্থা কিংবা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়-সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সংঘটিত কিছু নৃশংস এবং অনাহুত ঘটনা জনমনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্ষমতাকে ক্ষেত্রবিশেষে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো একটি অংশের সহায়তায় কেউ কেউ কি দেশে উদ্দেশ্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে কিনা-সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কথা শুনলে বোঝা যায়-এই বিষয়টিও জনমনে জিজ্ঞাসা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আদৌ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কিনা-কোনো কোনো মহল থেকে এমন ধরনের প্রশ্ন উপস্থাপন বিচ্ছিন্ন বক্তব্য হিসাবে বোধহয় দেখার আজ কোনো সুযোগ নেই।’ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় (ভার্চুয়ালি) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা’ শীর্ষক এই সভা হয়।
বণিক বার্তা
বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেয়া বিতর্কিতদের প্লট বাতিল করেনি রাজউক
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তার সহযোগীদের নাম-পরিচয়। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এ তালিকায় উঠে আসে প্রভাবশালী আমলা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বেশকিছু গণমাধ্যমকর্মীর নাম; যারা মূলত ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে তারা পান প্লট কিংবা ফ্ল্যাট বরাদ্দ। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এসব সম্পদের বরাদ্দ বাতিলের দাবি ওঠে। কিন্তু এক বছর হতে চললেও বাতিল করা হয়নি বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ পাওয়া বিতর্কিতদের প্লট।
আজকের পত্রিকা
জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানুষ যখন জীবনবিমা করেন, তখন তাঁদের প্রত্যাশা থাকে, দুঃসময়ে একটি আশ্রয় মিলবে। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সেই আশ্রয় বানিয়ে রাখা ছাদই ভেঙে পড়ছে। প্রতিবছর লাখ লাখ জীবনবিমা পলিসি বাতিল বা তামাদি হয়ে যাচ্ছে শুধু সময়মতো প্রিমিয়াম না দেওয়ার কারণে। ফলে বিমাকারীর মৃত্যুর পর এই বিমা থেকে বেশির ভাগ পরিবারই পায় না কোনো আর্থিক সুবিধা, অথচ একটা সময় তারা ছিল নিয়মিত গ্রাহক।
