খাদ্য ব্যবস্থায় ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও পুষ্টির ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত ‘জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলনের একটি সাইড ইভেন্টে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে একটি ন্যায়সঙ্গত, স্থিতিস্থাপক এবং পুষ্টি-সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের যাত্রা উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং শিক্ষণীয়। আমাদের প্রধান খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন থেকে শুরু করে একটি সমন্বিত পুষ্টি-সংবেদনশীল নীতি কাঠামো চালু করা পর্যন্ত আমাদের অর্জনগুলো প্রশংসনীয়। তবে এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো এখনও গুরুতর।
তিনি বলেন, আমাদের কৃষকরা এখনও তাদের উৎপাদিত পণ্যে কম লাভবান হচ্ছে। খাদ্যের ক্ষতি এবং অপচয় এখনো যথেষ্ঠ পরিমানে কমিয়ে আনা যায়নি। পরিবেশগত হুমকি বিশেষ করে লবণাক্ততা, খরা এবং বন্যা তীব্র হচ্ছে। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমাদের আর মাত্র পাঁচ বছর সময় আছে, খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের তাগিদ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি।
আরও পড়ুন
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, লব্ধ জ্ঞান, সরঞ্জাম এবং অনুশীলন বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় এবং অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত। খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর কেবল আমরা কি চাষ করি তা নয়, এটি আমাদের জনগণকে কিভাবে পুষ্টি জোগায়, আমাদের পৃথিবীকে কিভাবে রক্ষা করে এবং আমাদের উৎপাদকদের কিভাবে ক্ষমতায়ন করে তার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি সকলকে দৃষ্টান্ত থেকে কাজে, নীতি থেকে বিনিয়োগে, প্রতিশ্রুতি থেকে অগ্রগতির এই যাত্রায় বাংলাদেশের সাথে যোগ দেওয়ার আহবান জানান।
এসএইচআর/এনএফ