অনেক দেশের বিমানবন্দরে গেলে এমনভাবে তাকায়, মনে হয় মরে যাই

বাংলাদেশের পাসপোর্টের নিম্নমানের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অনেক দেশের বিমানবন্দরে গেলে এমনভাবে তাকায়, মনে হয় মরে যাই। আমরা এত বড় বড় কথা বলি- ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’, কিন্তু কী দেশ বানিয়েছি আমরা যে দেশের পাসপোর্ট নিয়ে গেলে অন্য দেশে নিচু চোখে দেখা হয়।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, বিদেশে যখন পাসপোর্ট নিয়ে যাই এত লজ্জা লাগে, রাগ লাগে। অনেক দেশের বিমানবন্দরে গেলে এমনভাবে তাকায়, মনে হয় মরে যাই। হংকংয়ে, দুবাইয়ে আমার পাসপোর্ট দেখছে, এমন একটা লুক দেয়, এত প্রশ্ন করে.. পেছনের লোকজন ক্ষেপতে থাকে। তখন মনে হয় মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, আমেরিকায় ছয়বার গেছি, বিভিন্ন মেয়াদে কয় বছর থেকেছি; তারপরও ভিসা দেয় না। দিনের পর দিন ঘুরাইয়া ভিসা দেয়। প্রমাণ করার জন্য বাংলাদেশিদের সবগুলো পাসপোর্ট একসঙ্গে বহন করতে হয়। এই দুর্ভাগ্য পৃথিবীর খুব অল্প জাতির আছে। অনেকগুলা পাসপোর্ট আমরা বহন করি, জানি না কখন কী সন্দেহ করে। এগুলো আমাদের নিজেদের জিজ্ঞেস করতে হবে, এসব প্রশ্ন করতে হবে।
‘আমার তো এখন একটা স্পেশাল পাসপোর্ট আছে, দুদিন পর আবার সেটা হবে।’ যোগ করেন উপদেষ্টা।
সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেলে সম্মান পাবেন- এমনটা বেঁচে থাকতে দেখতে পারবেন কি না তা নিয়ে আক্ষেপ করে আসিফ নজরুল বলেন, আমি জানি না আমার জীবনকালে আমি এই জিনিসটা দেখতে পারব কি না- একটা সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে কোনো একটা দেশে গেছি, ইমিগ্রেশান অফিসার অত্যন্ত তাচ্ছিল্য নিয়ে এবং খুব অশ্রদ্ধা নিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে না। এ রকম দিন আমি যতদিন বেঁচে আছি পাব কিনা জানি না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা যথেষ্ট আত্মসম্মানজ্ঞান সম্পন্ন না। অনেক ক্ষেত্রে আমরা অপ্রয়োজনে নিজেদের ছোট করি। এটা আমি সব সময় বিরোধিতা করে এসেছি, সব সময় সফল হইনি।
এনআই/এমএসএ