জুলাই যোদ্ধাদের জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা

‘৩৬ জুলাই’, বাংলার ইতিহাসে জ্বলজ্বল করে ওঠা উদীয়মান এক সূর্য। এই সূর্য ওঠার প্রতীক্ষায় ছিলাম আমরা। সেই প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে অনেক নক্ষত্র খসে পড়েছে। হাসতে হাসতে জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিতে দেখেছি তরুণ প্রজন্মকে।
আমাদের রক্তে প্রবহমান ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। তাজা রক্তে রঞ্জিত হতে দেখেছি পিচ ঢালা রাজপথ। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এ মাতৃকায় চেপে বসা এক বিভীষিকাময় দুঃশাসন থেকে মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ জাতিকে উপহার দিয়েছে নতুন সূর্য।
এই ‘সূর্য’-এর ধারক-বাহকদের জানাই ঢাকা পোষ্টের পক্ষ থেকে রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
পাকিস্তানি আলবদর, আলশামস ও তাদের দোসরদের সহায়তায় ’৭১-এ দেশের বুদ্ধিজীবী ও বাংলার মানুষদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ আমরা দেখেছি। তারই আদলে চব্বিশ-এর আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের দেশীয় পেটোয়া বাহিনী দেশের ভবিষ্যৎ, তরুণ সমাজকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জাতির মেরুদণ্ড, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বৈরাচারের ভীত কখনো চিরস্থায়ী হতে পারে না।
আমাদের গর্ব, অহংকার—আমাদের ছাত্র সমাজ। নতুন বাংলাদেশ গঠনে আমাদের গর্ব সাহসী যোদ্ধা, পৃথিবীর বুকে আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে দেওয়া বাংলার তরুণ ছাত্র সমাজ। দেশ গঠনে ছাত্রদের পাশে থেকে সব শ্রেণির মানুষের সরব উপস্থিতি ভবিষ্যতকে সঠিক নিশানায় পৌঁছে দিতে পারবে—এটি আমাদের বিশ্বাস।
জুলাই আন্দোলনে সব শহীদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে যেসব বীর অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রার্থনা জানাই।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা সমর্থন দিয়েছেন ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে তাদের জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা।
