দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্থানীয় সমস্যার সমাধান উদ্ভাবন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগী হলে দেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নগরের কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ৬২৫ জন এসএসসি পরীক্ষায় অসামান্য ফলাফল অর্জনকারী চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আয়োজন করেন।
এসময় মেয়র বলেন, শুধু মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করলেই হবে না; তাদের দেশেই ধরে রাখতে হলে জীবনমান উন্নয়নে সরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেন শিক্ষাখাতে চসিকের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চসিকই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে থাকে। বর্তমানে চসিকের ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতি বছর এ খাতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় সেটিকে ব্যয় নয়, বরং বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন তিনি।
মেয়র বলেন, শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য আমি শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব। শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে বিনিয়োগ করলে একটি আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতি মাসে চসিককে ছয় থেকে আট কোটি টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়, যা আসলে ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ।
‘অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসে না। এতে দেশ তাদের মেধা ও দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই দেশের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ আরও বাড়াতে হবে, যাতে তারা দেশের ভেতরেই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজে সুযোগ বাড়াতে হবে। স্থানীয় সমস্যার স্থানীয় সমাধান বের করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে তরুণ সমাজকে যুক্ত করতে হবে।
এমআর/এসএম