সময় বাড়ল আইসিটি খাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র তৈরির টাস্কফোর্সের

আইসিটি খাতে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করে একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রণয়নের কাজ আরও তিন মাস বাড়িয়েছে টাস্কফোর্স। প্রধান উপদেষ্টার আদেশে গঠিত এ কমিটি ইতিমধ্যে কার্যক্রমের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। এ সময়সীমা বাড়ার ফলে এখন সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাগরিক ও অংশীজনদের কাছ থেকে তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা সংগ্রহ করবে টাস্কফোর্স, যাতে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সঠিক চিত্র শ্বেতপত্রে প্রতিফলিত হয়।
আজ (সোমবার) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানানো হয়েছে, আইসিটি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে নাগরিকদের কাছ থেকে তথ্য আহ্বান করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন টাস্কফোর্স। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিকে চিহ্নিত করে এর বিশ্লেষণ তুলে ধরাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার আদেশক্রমে গঠিত এই টাস্কফোর্স ইতিমধ্যে তাদের কার্যক্রমের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্বে প্রবেশ করেছে। এ পর্যায়ে তাদের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। ফলে টাস্কফোর্সের মেয়াদ এখন ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আরও জাননো হয়েছে, টাস্কফোর্সে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন তিনজন বিশেষজ্ঞ। তারা হলেন — প্রযুক্তিবিদ ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজওয়ান খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী মফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একই বিভাগের অধ্যাপক রিফাত শাহরিয়ার।
আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম. নিয়াজ আসাদুল্লাহ টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে এই কমিটি এখন নাগরিক ও অংশীজনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সবার কাছে তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা আহ্বান করছে। বিশেষভাবে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংঘটিত অনিয়ম—যেমন টেন্ডার কারসাজি বা রাজনৈতিক প্রভাবে প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ—সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
তথ্য পাঠানো যাবে ইমেইলে ([email protected]), অনলাইন জরিপ ফর্মে (https://forms.gle/U81miZaZrQKWTwit8), ফেসবুকে (www.facebook.com/ictwhitepaperbd2025) এবং লিংকডইনে (www.linkedin.com/company/ictwhitepaperbd2025)।
এছাড়া সরাসরিও তথ্য জমা দেওয়া যাবে টাস্কফোর্স প্রধানের দপ্তরে—আইসিটি টাওয়ারের ৭ম তলার কক্ষ ৭০৭ নম্বরে। ভবনের নিচতলায় স্থাপিত পরামর্শ বাক্সেও তথ্য দেওয়া যাবে।
আরএইচটি/এনএফ