নুরের ওপর হামলা নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের অংশ : চসিক মেয়র

ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ও বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ ধরনের হামলা। এরকম আরও হতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্র যাতে দানা বেঁধে না ওঠে সেজন্য আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। তাই আমাদের সাবধানে থাকতে হবে ও সতর্কভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরের চর চাক্তাই নয়া মসজিদ সংলগ্ন আমির ফোরকানিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের গরিব, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চসিক মেয়র।
আরও পড়ুন
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অতিথি পাখিরা সুসময়ে আসবে, আবার দুঃসময়ে উড়াল দেবে। কিন্তু ত্যাগী কর্মী ও নেতারা দেশ ছেড়ে পালাবে না। কর্মীদেরও ছেড়ে যাবে না। বিএনপিতে যারা আছেন তারা নির্যাতন, অন্যায় অত্যাচার ও নিষ্পেষণের শিকার হয়েছেন; আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
ধানের শীষের পক্ষে জনসমর্থনের প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এর মধ্যে ধানের শীষের একটা জোয়ার উঠেছে। এই জোয়ার ধরে রেখে মানুষের জন্য আপনারা কাজ করে যাবেন। কোনো ধরনের অন্যায় অত্যাচারের শিকার যেন মানুষকে হতে না হয়। যদি কারো ওপর অন্যায়-অত্যাচার হয় তাহলে নেতাদের জানাবেন, প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে আমাকে জানাবেন। কোনো অন্যায় অত্যাচারীকে দলে রাখা যাবে না।
তিনি দাবি করেন, গত ১৬ বছরে আমার কোনো কর্মী চরিত্র হারায়নি। অন্যায় অত্যাচার নিষ্পেষণ বুকে বেঁধে রেখেও আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন এখনো ঘোরাফেরা করছে, অতিথি পাখিরা টোপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশপ্রেম ও সততার ভিত্তিতে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
অটোরিকশা প্রসঙ্গে মেয়র শাহাদাত বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কাজ হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, নালা-নর্দমা সংস্কার, জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা, গ্রিন প্ল্যান্টেশন ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন করা। অটোরিকশার অনুমতি দেওয়া সিটি কর্পোরেশনের কাজ নয়। এটা দেবে বিআরটিএ ও পরিচালনা করবে ট্রাফিক বিভাগ। সিটি কর্পোরেশনের চারটি বিভাগ ছাড়া আর কোনো কিছুর এখতিয়ার নেই। আমরা শুধু সহযোগিতা করি। বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগ যখন পারমিশন দেবে, সিটি কর্পোরেশন এ ব্যাপারে কখনো না করেনি এবং করবেও না।
তিনি আরও বলেন, গতবারও অটোরিকশা চালানোর জন্য আমি নিজে পুলিশ কমিশনার ও বিআরটিএতে কল করেছি। তবে শর্ত ছিল অটোরিকশা অলিগলিতে চলবে এবং শিশুদের দিয়ে চালানো যাবে না। কিন্তু এখন উল্টো ওরা আমাকে প্রশ্ন করছে, আপনি তো আমাদের সুপারিশ করেছিলেন। তখন বলেছিলেন, এগুলো শুধু অলিগলিতে চলবে এবং ছোট বাচ্চারা চালাবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এগুলো রাস্তাঘাটে চলে আসছে, দুর্ঘটনা বাড়ছে ও ছোট বাচ্চারাও চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই। এটা ট্রাফিক বিভাগ ও বিআরটিএর বিষয়। আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে আমি আবারও আপনাদের জন্য সুপারিশ করব।
এমআর/এসএসএইচ