পবিস কর্মীদের গণছুটি কর্মসূচি, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

চতুর্থ দিনের মতো আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়িত বোর্ডের (বাপবিবো) বিরুদ্ধে দমন–নিপীড়ন, দুর্নীতি, চাকরিচ্যুতির হুমকি এবং নিম্নমানের মালামাল কেনার অভিযোগ তুলে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তবে আন্দোলনের মধ্যেও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সেবা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
কর্মসূচি পালনকালে আন্দোলনকারীরা সব মিটার রিডিং বুক জেনারেল ম্যানেজারের কাছে জমা দেন। রিডিং বুক বাইন্ডার জমা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকের মিটারের রিডিং গ্রহণ বন্ধ হয়ে গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা বলেন, দেশের ১৪ কোটি মানুষের ঘরে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে মাঠপর্যায়ে তারাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও মালামাল সরবরাহ এবং গ্রাহকবান্ধব নীতির অভাবে সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
আন্দোলনকারীদের দাবি, এই কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক বা ব্যক্তিস্বার্থ সংশ্লিষ্ট নয়। বরং এটি গ্রাহকদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উন্নত ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার প্রয়াস।
তবে আন্দোলনের মধ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড থেকে আন্দোলনরত পাঁচজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বদলি করে ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে ২ সেপ্টেম্বর রাতে নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন কর্মকর্তাকে পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ে সাময়িক বরখাস্ত করে সংযুক্ত করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট সমিতির কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একদিনে সাময়িক বরখাস্ত ও সংযুক্ত করে এ কর্মকর্তাকে ৪৪৭ কিলোমিটার দূরে সংযুক্ত হতে বলা হয়, এতে করে মানসিক চাপে তিনি রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাতেই অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্ত ও সংযুক্ত আদেশ আজকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাতিল করা না হলে নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী একযোগে ছুটিতে চলে যাবেন এবং এর জন্য গ্রাহকের সেবা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যয় হবে এবং তার দায় সংশ্লিষ্ট জেনারেল ম্যানেজার এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ওপর বর্তাবে।
ওএফএ/এমজে