পিপলস লিজিং বন্ধ না করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সধারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড বন্ধ রোধে প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের আমানতকারীদের সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সধারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে সারা জীবনের সঞ্চিত ও কষ্টার্জিত অর্থ আমানত জমা রেখেছিলাম আমরা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোম্পানির তৎকালীন মালিক/পরিচালকরা পিপলস লিজিং কোম্পানির অর্থ নামে-বেনামে লুঠ করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক পিপলস লিজিং কোম্পানিকে সহযোগিতা না করে এবং দোষীদের বিচার না করে বরং কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং ২০১৯ সালে হাইকোর্টে কোম্পানি লিকুডিয়েশনের জন্য আবেদন করে। ফলে পিপলস লিজিংয়ের হাজার হাজার আমানতকারীরা তাদের অর্থ ফেরত পাচ্ছিলেন না।
আরও পড়ুন
আতিকুর রহমান আতিক বলেন, নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে আমানতকারীরা হাইকোর্টে পিপলস লিজিং কোম্পানিটি পুনরায় চালুর জন্য আবেদন করলে আমানতকারীদের আবেদন হাইকোর্ট মঞ্জুর করেন এবং ২০২১ সাল থেকে পিপলস লিজিং কোম্পানিটি হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে ভালোভাবেই চলছে। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার আমানতকারী তাদের অর্থ ফেরত পেয়েছেন। কোম্পানি শেয়ার বাজারে গিয়েছে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে কোম্পানিটি লাভজনক পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট পূর্ববর্তী পরিচালককে ১৪০০ কোটি টাকা কোম্পানিতে ৬ মাসের মধ্যে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে কোম্পানির সব আমানতকারীরা তাদের আমানতের অর্থ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু দুঃখজনকভাবে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পিপলস লিজিং কোম্পানিকে হঠাৎ করে লিকুডিয়েশন বা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক চালু অবস্থায় পিপলস লিজিং কোম্পানিকে বন্ধ করে দেয়, তাহলে হাজার হাজার আমানতকারীরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবে। অন্যদিকে পিপলস লিজিং কোম্পানির ডিফল্টার/ঋণ খেলাপি ও প্রকৃত দোষীরা পার পেয়ে যাবে। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান, অর্থ উপদেষ্টা, অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কাছে অনুরোধ কোম্পানিটি বন্ধের হাত থেকে রক্ষা করুন। না হলে দেশে-বিদেশে ঘাপটি মেরে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটেরা ও ঋণ খেলাপিরা পার পেয়ে যাবে।
ওএফএ/এমএন