প্রবাসী কর্মীদের ভ্যাকসিন না দিলে শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে

করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদেশগামী কর্মীদের টিকার সনদ বাধ্যতামূলক করেছে কয়েকটি দেশ। সামনের দিনগুলোতে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশেই এমন বিধান আসতে পারে মর্মে বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি) সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ।
বুধবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া ও টিকিটের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় পরিষদটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৪০ থেকে ৫০ হাজার কর্মী বিদেশে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে টিকার ব্যবস্থা না করা হলে কোয়ারেন্টাইন বাবদ ৩৭৫ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য টিকিটের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ‘কয়েকটি দেশ কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে টিকার সনদ বাধ্যতামূলক করেছে। সামনের দিনে প্রতিটি দেশে যেতে দেখা যাবে টিকার সনদ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে, বিদেশগামী কর্মীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পায়। অন্যথায় এক সময় দেখা যাবে অনেক দেশে আমাদের কর্মী যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।’
বায়রার সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘টিকা না পেলে কর্মীদের বাধ্যতামূলক ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। যা কর্মীদের জন্য খুব ব্যয়বহুল। দেখা যাচ্ছে, কর্মীদের হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাবদ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। সরকার চাইলে সৌদি আরব অথবা যেসব দেশে বাংলাদেশি কর্মী বেশি যায় দাতা সংস্থাগুলো তাদের থেকে টিকার ব্যবস্থা করা দিতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘কোভিডের কারণে বর্তমান শ্রমবাজারে একমাত্র সৌদি আরব ছাড়া সব দেশে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সবচেয়ে বেশি কর্মী যাওয়া সৌদি আরবেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বিধান চালু করেছে। এমন অবস্থায় বিদেশ গমনেচ্ছুদের টিকা দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।’
টিকিটের মূল্য প্রসঙ্গে শাহাদাৎ বলেন, ‘বিদেশগামী কর্মীদের জন্য টিকিটের মূল্য যে পরিমাণে রাখা হচ্ছে সেটা আর কোনো দেশের ক্ষেত্রে হচ্ছে না, শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উচ্চমূল্য নেওয়া হচ্ছে। এতে প্রবাসীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
এনআই/জেডএস