নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব পালনে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান

সবাই যেন নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব পালন করতে পারে এজন্য নিরাপত্তা জোরদার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’- এই বিষয়টির আলোকে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তার বলেন, বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সবসময় দেশের বৈচিত্র্যকে ধারণ করেছে, বৈচিত্র্যকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অরাজকতা প্রতিহত করতে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তারা আরো বলেন সাম্প্রদায়িকতাকে পরিহার করতে হবে; বাংলাদেশের পতাকাতলে আমরা সবাই , কাজেই আমরা সবাই একই দেশের মানুষ।
তারা বলেন, সাম্প্রদায়িকতা কখনোই প্রকৃত উন্নয়ন নিয়ে আসেনা। উৎসব মানে আনন্দ। কিন্তু আনন্দের পরিবর্তে আমরা অনেক সময় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সত্যিকার অর্থে আনন্দপূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ও নাগরিকদের ভয়ভীতি শঙ্কা কাটাতে রাষ্ট্রকে উৎসব পালনের আগে যেকোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করতে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানাই। বর্তমানে যে মব ভায়োলেন্সের সংস্কৃতি চালু হয়েছে সরকারকে যে কোনোভাবেই হোক তা বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণের এবং সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন এবং সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে, তবে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন , বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী দেশ, এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন ভাষাভাষীর জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। দেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মের সার্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে থাকে। উৎসবকালে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বন্ধ করতে হবে; এ দেশে সবার অবস্থান সম্প্রীতিপূর্ণ হতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া, সহ-সভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস রত্না, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ প্রমুখ।
এএসএস/এমএন