গুরুতর হলে আদালতে যাব : ক্যাব সভাপতি

স্বাভাবিক অনিয়ম মোকাবিলা করবে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে ক্যাব আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, আইন প্রয়োগ করা ক্যাবের কাজ নয়, বরং অনিয়ম চিহ্নিত করে তা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর বাইরে বড় ধরনের অনিয়ম বা জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘ক্যাবের কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক’ শীর্ষক একটি সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থা নই। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কিছু প্রশাসনিক ক্ষমতা আছে। তারা লড়াই করতে পারে, বিচার করতে পারে, প্রশাসনিক কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে। একইভাবে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকেও তাদের নিজ নিজ আইনে নির্দিষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বা ইউএনও সাহেবরাও আইন প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু আমরা সরাসরি আইন প্রয়োগ করতে পারি না। তবে আইন প্রয়োগ কীভাবে করতে হয়, সেই নির্দেশনা আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে থাকি। যেমন, কোথায় অনিয়ম হচ্ছে তা চিহ্নিত করে জানাই, যাতে তারা আইন প্রয়োগ করতে পারে। এজন্য আমি সচেতনতামূলক আওয়াজ তুলি।
ক্যাব সভাপতি বলেন, যখন দেখি যে আমাদের এই আইনের ভেতরে থেকে কোনো সমাধান হচ্ছে না, তখন আমরা আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ডায়াবেটিক স্ট্রিপ ইস্যুতে যখন আমরা অভিযান চালাই, তখন দেখা গেল যে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ডিএনসিএফ-এর পক্ষে ছিল না, বরং বিপক্ষে কাজ করেছিল। অথচ তারা মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ছিল। তখন হাইকোর্টে রিট করে সরকারকে বাধ্য করা হয়েছিল এগুলো বন্ধ করতে। একইভাবে হার্টের বাল্ব ও রিং-এর দাম কমানোর ক্ষেত্রেও আদালতের নির্দেশের প্রভাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমরা যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করি। কেবল গুরুতর ক্ষেত্রে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশন কবির ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. মুঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, প্রচার সম্পাদক মো. মুসা মিয়া ও নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহা. শওকত আলী খান।
এমএইচএন/এআইএস