বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ডিজিটাইজড ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে ও সমন্বিত ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে ভূমিসেবায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ২০২৫ কে-জিও ফেস্টে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমদ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মি. লি সাং কিয়ং এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাইজড ভূমি জরিপ পরিচালনা এবং সমন্বিত ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বাস্তবায়নের পথ সুগম হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ জরিপ হিসেবে এটি বিবেচিত হচ্ছে। আনুমানিক প্রতি ২৫ বছর পরপর ভূমি জরিপ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে নতুন যে জরিপ শুরু হয়েছে এটি সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হবে। বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে মূলত ভূমি সংক্রান্ত আধুনিক ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম, যা ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশন করার লক্ষ্যে পরিচালনা করছে।
এর ফলে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমি সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ, মালিকানা যাচাই এবং ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও স্বচ্ছ, দক্ষ ও জনবান্ধব করা সম্ভব হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো জমি নিয়ে বিরোধ কমানো, দলিল ও রেকর্ডের সঠিকতা নিশ্চিত করা এবং নাগরিক সেবা অটোমেশনের মাধ্যমে মানুষের ভোগান্তি কমানো।
এছাড়াও ভূমির পরিমাণ, অবস্থান, ব্যবহারযোগ্যতা ও ভূমির শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে নির্ভুল ও হালনাগাদ তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার একটি ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
এসএইচআর/এমএসএ