দুদক দুর্নীতিমুক্ত না হলে অন্যকে বলার নৈতিক অধিকার থাকে না

দুদক অফিস দুর্নীতিমুক্ত না হলে অন্য অফিসের দুর্নীতি নিয়ে কিছু বলার নৈতিক অধিকারই থাকে না বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় টিআইবির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। একই সময়ে অপর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির ৬ মামলার রায় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কার্যক্রমকে অধিকতর বেগবান ও গতিশীল করতে পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা প্রায় ১২০০ জন লোকবল হয়। অনুষ্ঠানে দুদকের পক্ষে মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এবং টিআইবির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই সমঝোতা স্মারক সই করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলেন, দুদক অফিস যদি দুর্নীতিমুক্ত অফিস না হয়, তাহলে অন্য অফিসকে বলার নৈতিক অধিকারই থাকে না, তোমরা কেন দুর্নীতি করো? আমাদের নিজেদের মধ্যে যেটুকু দুর্নীতি রয়েছে, সেটা মুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়া বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অক্টোবর-নভেম্বরে মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির ৬ মামলার রায় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশে আটকে যাওয়া টিউলিপ সিদ্দিকের মামলা সচলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি মামলাগুলো নিষ্পত্তি হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, কোনো সন্দেহ নেই আমাদের অনেকগুলো তদন্ত পেন্ডিং আছে। তবে আমাদের কর্মক্ষমতাও দেখতে হবে। আমি এই অফিসে ১২০০ মতো লোকবল রয়েছে। তার মধ্যে সবাই কর্মদক্ষও নয়। আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ। আমাদের ২০০৪ সালের আগের মামলাও ঝুলে আছে। আমরা স্বীকার করছি আমাদের সীমাবদ্ধতার কথা। যত সম্ভব তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিয়ে আনা আমাদের চেষ্টা করছি।
আরএম/বিআরইউ