বৈষম্য দূর না হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক ও বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেছেন, শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদসৃজন ও পদ আপগ্রেডেশন এখন সময়ের দাবি। শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও প্রণোদনা নিশ্চিত না করলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ব্যাহত হবে এবং মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশা থেকে নিরুৎসাহিত হবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস–২০২৫ উপলক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অ্যাকাডেমির (নায়েম) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সোহেল বলেন, শিক্ষকতা পেশার দীপ্তি বাড়াতে হলে শিক্ষা ক্যাডারের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে। শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী দীপ্তিমান শিক্ষক নিশ্চিত করতে হলে তাদের পেশাগত সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে হবে।
সভা পরিচালনা করেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান। তিনি বলেন, শিক্ষকদের মান–মর্যাদা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বৃদ্ধি করতে হলে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতেই হবে। নইলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আর আসবে না। শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা বাড়ানো ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পদোন্নতি ও গ্রেডের ক্ষেত্রে তারা চরম বৈষম্যের শিকার। সরকারি কলেজের অধ্যাপকরা সরকারি শিক্ষক কাঠামোয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও তাদের সর্বোচ্চ গ্রেড মাত্র চতুর্থ।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার মান ও কাঠামো সংকুচিত হলে নারী ও উচ্চশিক্ষা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং শিক্ষা ক্যাডারের বৈষম্য আরও গভীর হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষ, অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রফেসর নাসরীন বেগম এবং সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকরা। অনুষ্ঠানে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
আরএইচটি/এমএন