১৬ টাকার গ্যাসের দাম ৪০ টাকা করার প্রস্তাব

সার উৎপাদনে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। তবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) বলেছে, ভর্তুকি চূড়ান্ত না করে গ্যাসের দাম বাড়লে সংকট তৈরি হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর বিয়াম ল্যাবরেটরিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক আয়োজিত সারের গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানিতে এ প্রস্তাব করা হয়।
পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দাম বাড়ানো হলে বাড়তি ৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করে সারে সরবরাহ করা হবে। আগামী ৬ মাস (অক্টোবর-মার্চ) পুরো মাত্রায় (২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৬ মাসের মধ্যে এপ্রিল-মে ১৬৫ মিলিয়ন হারে, জুনে ১৭৫ মিলিয়ন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৩০ মিলিয়ন হারে গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সার উৎপাদনে ৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে বিসিআইসি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৩৮ টাকার মতো। বিসিআইসি ডিলারের কাছে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করে, আর ডিলার বিক্রি করেন ২৭ টাকা দরে। ট্রেড গ্যাপ (উৎপাদন ও বিক্রয়মূল্যে ঘাটতি) ১৩ টাকা ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করছে সরকার। গ্যাসের দাম বেড়ে গেলে সারের উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যাবে। সেই ট্রেড গ্যাপের (ভর্তুকি) আগে সুরাহা করার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, আগের সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে পেট্রোবাংলা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুধুমাত্র ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসি প্রায় পুরো মাত্রায় উৎপাদন করেছে। যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি গ্যাসের অভাবে ৩৬১ দিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি বন্ধ ছিল ২৭৩ দিন, ঘোড়াশাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি ১৯৮ দিন বন্ধ ছিল। আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি মাত্র ৩.৭৫ শতাংশ সময় উৎপাদনে ছিল। প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় গ্যাস সরবরাহ কমেছে।
শুনানি শেষে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, গ্যাসের দাম প্রশ্নে সবদিক বিবেচনা করে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। দাম বেড়ে গেলে সারের উৎপাদন খরচের বিষয়ে আপনারা চিন্তিত। অবশ্যই কৃষিকে বিবেচনায় নিতে হবে।
ওএফএ/এমএসএ