হাতিরঝিলে বাসে গণপিটুনিতে অজ্ঞান পার্টির ৫ সদস্য আহত, ভুক্তভোগী ঢামেকে

রাজধানীর হাতিরঝিলের রেইনবো ক্রসিং এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে আব্দুল মান্নান (৪২) নামে এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গণপিটুনিতে অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্য আহত হয়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা হলেন— আব্দুর রশিদ (৪৭), কামাল (৪৫), বেলাল (২৪), নূর আলম (৪৬) ও উসমান (৪০)।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে রাজধানীর ৯ নম্বর সেক্টরে একটি বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী হামিম জানান, গাজীপুর পরিবহনের ওই বাসে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মান্নানকে কৌশলে মাদকদ্রব্য জাতীয় খাওয়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর বাসে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা বিষয়টি টের পেয়ে পাঁচজন সন্দেহভাজনকে ধরে ফেলেন এবং গণপিটুনির পর পুলিশকে খবর দেন। এ সময় মান্নানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচেতন ব্যক্তি ও গণপিটুনিতে আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আটক বেলাল জানান, আমি ছাড়া বাকি চারজন প্রতারক, তারা এই গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপে মোট আটজন ছিল, তারা জসীমউদ্দীন থেকে বাসে ওঠে এবং তারা নিজেরাও বাস থেকে আচার কিনে খায়। অন্যরা অচেতন না হলেও তাদের টার্গেট করা ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার কাছে থাকা টাকা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাসের যাত্রীরা সেটি বুঝতে পেরে গণধোলাই দেয়।
এদিকে আটক নূরে আলম জানান, আমি ওই যাত্রীর পাশে ঠিকই বসেছিলাম কিন্তু আমি কোনো কিছু খাওয়ায়নি। এ সময় বেলাল ও নূরে আলমের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, তারা একে অন্যের কাঁধে দোষ দেওয়ার চেষ্টা করে।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন এবং গণপিটুনিতে আহত পাঁচজন প্রতারককে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এসএএ/এমজে