‘সরকারি এলপিজি সিলিন্ডার ন্যায্য দামে ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে না’

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেছেন, সরকারি মালিকানাধীন এলপিজি সিলিন্ডার ন্যায্য দামে থাকা সত্ত্বেও তা প্রান্তিক ভোক্তার কাছে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না। বাজারে রিটেলার ও ডিস্ট্রিবিউটারের মাধ্যমে অনিয়মিতভাবে দাম বাড়ছে। অন্যদিকে রেগুলেটরি কমিশন যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি কার্যকর করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি : অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. শামসুল আলম বলেন, সরকারি মালিকানাধীন এলপিজি ৬০০ টাকায় থাকা সত্ত্বেও তা বাজারে অন্যভাবে ছড়ানো হচ্ছে। লাইসেন্স দেওয়ার তিনটি প্রবিধান ২০২১ সালের নীতিতে থাকলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে রিটেলার ও ডিস্ট্রিবিউটারের দায়-দায়িত্ব স্পষ্ট নয় এবং সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো ঘটনার জন্য দায় নির্ধারণের কোনো সুস্পষ্ট প্রক্রিয়া গড়ে ওঠেনি।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, রেগুলেটরি কমিশন ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এবং ওয়ান-স্টপ সার্ভিস-এর অভাবে ঘুষ-দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত প্রান্তিক ভোক্তাদের ওপরই পড়ছে। লাইসেন্স থাকাদের পূর্ণদায়িত্ব ও অভ্যন্তরীণ প্রবিধান বাস্তবায়ন করে রেগুলেটরকে শক্তিশালী করা না হলে ভোক্তা-সুরক্ষা ও পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় আরো অংশ নেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামাল, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আমিরুল হক, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখারসহ অন্যান্যরা।
আরএইচটি/জেডএস