বৃষ্টিতে বাসে উঠতে না পারায় ভোগান্তি

আগে থেকেই আভাস ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হবে। ভোর থেকে বৃষ্টি না থাকলেও রোববার (২০ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে নেমে আসে বৃষ্টি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কাজে বের হওয়া মানুষ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে গণপরিবহনে উঠতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব মানুষকে।
শনিবার (১৯ জুন) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

বৃষ্টি মাথায় রাজধানীর নতুন বাজারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাজেদুর রহমান নামের একজন। তিনি বলেন, কাজে বের হওয়ার পরই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন বৃষ্টির মধ্যেই বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোন বাসে উঠতে পারছি না। সব বাসের গেট লাগানো। দুই সিটে একজন করে যাত্রী নেওয়ায় বাসগুলো আগে থেকেই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে আসছে। তাই চেষ্টা করেও বাসে উঠতে পারছি না।
রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনের স্টপেজে দাঁড়িয়ে গুলিস্তানের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এনায়েতুল্লাহ নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে গণপরিবহনে উঠতে না পেরে অসহায় অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে শত শত মানুষ। কিন্তু কেউই বাসে উঠতে পারছে না। বৃষ্টিতে ভিজে একাকার অবস্থা, ঠেলাঠেলি করেও বাসে উঠা সম্ভব হচ্ছে না। গেট লাগিয়ে বাসের কন্টাক্টররা গেটে দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তায় এভাবে মানুষ ভিজে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে তবু তারা গেট খুলছে না।

রাস্তায় শত শত মানুষ বৃষ্টিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে, তবুও কেন বাসের গেট বন্ধ? এমন প্রশ্নের জবাবে আকাশ সুপ্রভাত বাসের চালক আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, কি করব। একদিকে মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছে, অন্যদিকে বাসের ভেতরে থাকা অন্য যাত্রীরা আমাদের ওপর ক্ষেপছে। দুই সিটে একজন যাত্রী বসানো হচ্ছে। যদি জোর করেও দুই-একজন যাত্রী বাসে উঠে যায়, সেক্ষেত্রে আগে থেকেই বাসে থাকা যাত্রীরা চালক, হেলপারের ওপর ক্ষেপে যাচ্ছে। বলছে ভাড়া বেশি নিচ্ছ, আবার দাঁড়িয়ে যাত্রী কেন নিচ্ছ। এসব বলে তারা ভাড়া কম দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাসের গেট বন্ধ রেখেছি।

বিষয়টি নিয়ে একই বাসের যাত্রী নিজাম মাহমুদ বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রতিটি যাত্রী ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়ে বাসে চলাচল করছে। আমাদের কাছ থেকে তো ভাড়া কম নিচ্ছে না তারা। তাহলে কেন অতিরিক্ত যাত্রী তাদের তুলতে দেব? দুই সিটে একজন করে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বাস কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে সব দূরত্বেই অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ ভাড়া নিচ্ছে। সচেতন যাত্রী হিসেবে বাস কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে সব যাত্রী মিলে বাসের গেট লাগিয়ে রাখতে বলেছি কন্টাক্টরকে।
এএসএস/এসএসএইচ