গ্রামীণফোনের ছাঁটাই করা কর্মচারীদের পুনর্বহালের দাবি

প্রয়োজনের অতিরিক্ত উল্লেখ করে ১৫৯ কর্মচারীকে ছাঁটায়ের নোটিশ দিয়েছে গ্রামীণফোন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। সংগঠনটি ছাটাইয়ের শিকার হওয়াদের কাজে পুনর্বহাল করার দাবিও জানিয়েছে।
সোমবার (২১ জুন) সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনায় মানুষের ফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে। ফলে গ্রামীণফোনের মত কোম্পানির মুনাফাও বহুলাংশে বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামীণফোনের মতো কোম্পানির কর্মচারীদের কর্মব্যস্ততাও বেড়েছে বহুগুণ।
অথচ কোম্পানি বাড়তি কাজের জন্য নতুন কর্মচারী নিয়োগের পরিবর্তে কর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত দেখিয়ে ছাঁটাই করছে। অল্প কর্মচারীর ওপর অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুনাফা নিরঙ্কুশ করার গ্রামীণফোনের এই প্রচেষ্টা নিন্দনীয়।
এতে আরও বলা হয়, কর্মচারীদের শ্রম অধিকার সংকুচিত করতে কিছুদিন আগে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদসহ ১৮০ জন কর্মচারীকে টারমিনেট করার চেষ্টা করেছিল কর্তৃপক্ষ। কর্মচারীদের আন্দোলনের চাপে কর্তৃপক্ষ সেবার পিছু হঠে। মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সবসময় শ্রমিক-কর্মচারীদের যেকোনো জোটবদ্ধতাকে বিচ্ছিন্ন করে প্রতিবাদের শক্তিকে দুর্বল করতে সচেষ্ট থাকে। তাই অতিরিক্ত দেখিয়ে ১৫৯ জন কর্মচারীকে ছাঁটায়ের নোটিশ দেওয়া প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নকে দুর্বল করার প্রচেষ্টার অংশ বলে সন্দেহ করা যায়।
ছাঁটাই করা কর্মচারীদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাকালে কর্মচারীদের কর্মচ্যুত করে, দায়িত্বহীন আচরণ করে মুনাফার নামে জনগণের পকেটের টাকা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। গ্রামীণফোনের ছাঁটাই করা কর্মচারীদের পুনর্বহালের দাবিতে যেকোনো কর্মসূচির পাশে থাকবে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রতিবাদ
১৫৯ কর্মীকে ছাঁটাইয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এই ধরনের বেআইনি ছাঁটাই গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
সোমবার সংবাদ মাধ্যমে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
এমএইচএন/এমএইচএস