রাক সোলার ও সাফারি ট্রেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

জার্মানির রাক সোলার ও বাংলাদেশের সাফারি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন সাফারি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল-এর সিইও আব্দুর রাজ্জাক ও জার্মানির রাক সোলার-এর পক্ষ থেকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর জুর্গেন রাক। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান রুফটপ সোলার প্রকল্প স্থাপন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সূচনা করল।
সাফারি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের একটি বহুমুখী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যার আওতায় রয়েছে সাফারি রিনিউএবল এনার্জি, সাফারি ওয়াটারপ্রুফিং, সাফারি ইঞ্জিনিয়ারিং, সাফারি ফায়ার সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সাফারি ট্রেডিং। গত তেরো বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সক্রিয় রয়েছে এবং সোলার সেচ পাম্পিং ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ সিস্টেম স্থাপনে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে।
অন্যদিকে জার্মানির রাক সোলার সোলার রুফটপ সিস্টেম ডিজাইন ও বাস্তবায়নে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রকৌশল সক্ষমতা ইউরোপের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে তাদেরকে একটি বিশ্বস্ত নামে পরিণত করেছে।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বাংলাদেশে সোলার রুফটপ সিস্টেম প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বিনিময়, স্থানীয় কর্মী প্রশিক্ষণ, স্থানীয়ভাবে সোলার উপকরণ সংযোজন ও উৎপাদন এবং স্মার্ট এনার্জি সমাধান চালু করার জন্য কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে সাফারি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল-এর সিইও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই অংশীদারিত্ব জার্মান প্রযুক্তি ও আমাদের স্থানীয় দক্ষতার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবে। এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
রাক সোলার-এর পক্ষ থেকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর জুর্গেন রাক বলেন, আমরা বাংলাদেশের বাজারে আমাদের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পেরে গর্বিত। আমরা বিশ্বাস করি এই সহযোগিতা বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যৎ ও বাংলাদেশ সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আধুনিক জার্মান প্রযুক্তি ও বাংলাদেশের স্থানীয় দক্ষতার সমন্বয়ে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ভবন, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ ভবনসহ ও অন্যান্য বৃহৎ অবকাঠামোতে সোলার এনার্জি ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমানো এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
