মানসম্মত-প্রবেশগম্য টয়লেট নিশ্চিতের দাবি

মানসম্মত ও প্রবেশগম্য টয়লেট নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশ গত দুই দশকে স্যানিটেশন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু এ অর্জনের পাশাপাশি আমাদের এখনো কিছু বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। নগর দরিদ্র, পথচারী, বিশেষত নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গণশৌচাগার পরিষেবা প্রায় অনুপস্থিত। কিন্তু এ পরিষেবাটি শুধুমাত্র অবকাঠামো নয়, বরং স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবাধিকারের প্রতীক। মানসম্মত ও প্রবেশগম্য গণশৌচাগার নিশ্চিতের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন আবশ্যক।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কে আবাহনী খেলার মাঠের সামনে ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশ, এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “সকল উন্মুক্ত গণপরিসরে মানসম্মত ও প্রবেশগম্য টয়লেট নিশ্চিতের আহ্বানে” শীর্ষক মানববন্ধন থেকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩.৪ বিলিয়নের বেশি মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশন পরিষেবা ছাড়া জীবনযাপন করে। অনিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিসের মতো মারাত্মক রোগের বিস্তারের প্রধান কারণ। প্রতি বছর প্রায় ১,০০০-এর বেশি ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মারা যায় শুধুমাত্র অনিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধির অভাবে। একটি নিরাপদ টয়লেট বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে এবং জীবন বাঁচায়।
বক্তারা আরও বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ণের অভাবে ঢাকা মহানগরী ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রকল্পগুলোতে গণশৌচাগার নিশ্চিতের বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব পায় না। শৌচাগার তৈরির পাশাপাশি সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি কমিউনিটিতে তিন থেকে চারটি মানসম্মত ও প্রবেশগম্য গণশৌচাগার নিশ্চিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি ঢাকা শহরের সকল গণশৌচাগারের ম্যাপিং করে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা যেতে পারে, যার মাধ্যমে নাগরিকগণ সহজেই বুঝতে পারবেন তার আশেপাশে কোথায় শৌচাগার আছে।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প কর্মকর্তা প্রমা সাহার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার নাইমা আক্তার, ধানমন্ডি কচিকণ্ঠ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম নুরুল ইসলাম, লোটাস ন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা নাজমুন নাহার নিপা, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশের পলিসি অফিসার তালুকদার রিফাত পাশা প্রমুখ।
এএসএস/এমজে