ইসি থেকে এনআইডি চলে গেলে অসুবিধা হবে: সিইসি

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ (এনআইডি) সরকারের কাছে চলে গেলে নির্বাচন কমিশনের অসুবিধা হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, সরকারের এনআইডি নেওয়া বা আমাদের দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে অবশ্যই যুক্তি আছে। এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
বুধবার (২৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি নুরুল হুদা বলেন, এনআইডি সেবা হস্তান্তরের প্রজ্ঞাপন হয়ে গেলেও আলোচনার সুযোগ থাকছে। কারণ ইসি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। কীভাবে নেবে না নেবে এ বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে। এটা তো টেবিল-চেয়ার না যে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম। এজন্য ডায়লগে বসতে হবে এবং বসার জন্য তারাই আমাদের প্রোপজাল দেবে। নিশ্চয়ই সচিব পর্যায়ে এ বিষয়ে কথাবার্তা হবে। আলোচনায় আমাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো তাদের জানাবো।
বিশ্বের কোনো দেশেই এই সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে না উল্লেখ করে সিইসি বলেন, একদিকে সরকারের যুক্তি ঠিক আছে। আর আমাদের যুক্তি হলো, এই কাজটা ইসির অনেক পরিশ্রমের ফসল। এর জন্য আমাদের কয়েক হাজার নিবেদিত কর্মী তৈরি হয়েছে এবং তারা অত্যন্ত প্রফেশনাল। এতোদিনের ভুল ভ্রান্তি শেষে সব পেরিয়ে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তিসম্পন্ন কাজ তারা তৈরি করতে পেরেছে। এটার জন্য নির্বাচন কমিশন গর্ববোধ করে। তারা এর জন্য আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
সিইসি জানান, আমরা সরকারকে বলেছি, এতোগুলো লোক আবার তৈরি করা, আবার ১২ বছর ঘুরে অন্যকোনো ডিপার্টমেন্টের পক্ষে সম্ভব না। তাদের যুক্তি হলো, সরকারের জিনিস তারা নিয়ে যাবে। তোমরা তো সরকার না। আমরা সরকার না হলেও কিন্তু যখন যা দরকার হয়, আমরা সেসব সেবা দিতে পারি।
এ বিষয়ে ইসি থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা শুধু বলেছেন যে আগের সিদ্ধান্তেই আছেন। এটার ওপরে অনেক কাজ। আমাদের সঙ্গে ওনারা বসবেন, অবকাঠোমো নিয়ে হিসাবপত্র আছে। সেগুলো নিয়ে প্রক্রিয়া আছে, তার ওপরে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা তো আমাদের অবস্থান অনেক আগেই বলেছি।
নুরুল হুদা বলেন, এনআইডি সেবা সরকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে- এরকম বলা যাবে না। তারা নিতে চায় আমরা দেবো না, এরকমও বলা যায় না। সে রকম অবস্থানে আমরা নেই। আমাদের বসতে হবে তাদের সঙ্গে। আলোচনার বসে আমাদের অবস্থান তাদের বোঝাবো, সিদ্ধান্ত কি হবে তখনকারটা তখন দেখা যাবে। তা আগেই বলা যাবে না।
সিইসি জানান, কেবিনেট তো আমাদের কাছে উচ্চ পর্যায়। কেবিনেট থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। তাদের আমরা উত্তর দিয়েছি। আমরা এই পর্যায়ে আছি। তারা যদি এ বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত অথবা পরামর্শ বা তারা কি করতে চায় তা আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সচিবের সঙ্গে বসে, তখন আমাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে।
এসআর/এসএম