জুলাই আহতদের পুনর্বাসনে ইইউ–রেড ক্রিসেন্টের যৌথ উদ্যোগ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও জীবিকায়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আগামী এক বছর কাজ করবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসিএস)।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তায় পরিচালিত ‘পাথওয়েজ টু হিলিং (পিটুএইচ)’ শীর্ষক এই উদ্যোগে কারিগরি সহায়তা দেবে ড্যানিশ রেড ক্রস ও সুইডিশ রেড ক্রস। প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৬ জেলার জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় আট হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন।
ইইউয়ের দুই মিলিয়ন ইউরোর এই প্রকল্পের মাধ্যমে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তরা চিকিৎসা সেবা, ফিজিওথেরাপি, পুনর্বাসন সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, গুরুতর আহতদের জন্য চলাফেরায় সহায়ক সরঞ্জাম এবং জীবিকা সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসুবিধা উন্নয়ন এবং স্কুল পর্যায়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের ধারাবাহিক চিকিৎসা জোরদারের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন সরঞ্জাম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে ইইউ।
অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, বিডিআরসিএস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম, মহাসচিব ডা. কবির এম আশরাফ আলম এনডিসি, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শাহানা জাফর, হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস.এম. খোরশেদ আলম মজুমদার এবং আইএফআরসি বাংলাদেশ ডেলিগেশনের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর সোনাক্ষী দে।
আহতদের সঙ্গে কথা বলে ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শারীরিকভাবে গুরুতর আহত ও মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্তদের সহায়তায় বদ্ধপরিকর, যেন তারা মর্যাদার সাথে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।
চলতি বছরের আগস্ট থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আহতদের উপর যৌথ মূল্যায়ন পরিচালনা করে বিডিআরসিএস ও আইএফআরসি। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী গুরুতর আহত ক্যাটাগরি-এ এবং মধ্যম আহত ক্যাটাগরি-বি তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৪০১ জনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬৯৪ জনকে পরবর্তী মূল্যায়ন শেষে চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, জীবিকা সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি জীবিকা উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও কয়েক হাজার মানুষ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছে বিডিআরসিএস।
এমএইচএন/এনএফ