প্রথমবারের মতো সাকরাইন উৎসব আয়োজন করছে ডিএসসিসি

দক্ষিণ সিটির আকাশ রাঙাতে প্রথমবারের মতো সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। করপোরেশনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে আগামী ১৪ জানুয়ারি (৩০ পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ) এ উৎসবের আয়োজন করা হবে।
‘এসো ওড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি’ স্লোগানে আয়োজিত উৎসবটি একযোগে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে আয়োজন করা হবে। দুপুর থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলবে রাত আটটা পর্যন্ত।
আয়োজন সফল করতে ইতোমধ্যেই প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসি আয়োজনের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের ৭৫ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের ২৫ জন মহিলা কাউন্সিলরকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির পক্ষ হতে ১০০ করে ঘুড়ি সরবরাহ করা হবে। পরে কাউন্সিলররা ঘুড়িগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণের মধ্যে বিলি করবেন, যারা কমিটি নির্ধারিত মাঠ কিংবা বাড়ির ছাদে অবস্থান নিয়ে ঘুড়ি ওড়াবেন।
উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ বলেন, সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় দেশব্যাপী এ ঐতিহ্য ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি, সাকরাইন উৎসব আমাদের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই, ঢাকার ঐতিহ্য লালন, সংরক্ষণ এবং প্রসারে ডিএসসিসির মেয়র যে রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সে ধারাবাহিকতায় আমরা প্রথমবারের মতো এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যদিওবা উৎসবে আমরা কাউন্সিলরদের কাছে ১০০ করে মোট ১০ হাজার ঘুড়ি সরবরাহ করব এবং সেসব ঘুড়ি আগ্রহীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তারপরও যদি কেউ বাদ পরে, তারা নিজ বাড়ির ছাদ থেকে নিজের ঘুড়ি নিয়ে এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন। এ উৎসব সকলের জন্য উন্মুক্ত, সার্বজনীন।
সাকরাইন উৎসব-১৪২৭ আয়োজনে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এ কার্যক্রমে আমাদের কাউন্সিলররা ওতপ্রোতভাবেভাবে সম্পৃক্ত থেকে একটি সফল আয়োজনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এ আয়োজন পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনতে একটি মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
এএসএস/এমএইচএস