সচিবালয়ে সমাবেশ থেকে ৪ জন পুলিশ হেফাজতে, নিরাপত্তায় সেনা-র্যাব মোতায়েন

সচিবালয়ে কেপিআই নীতিমালা উপেক্ষা করে সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ থাকার পরও জনসমাগম করায় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ৪ নেতাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর সচিবালয়ে সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্য মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ডিএমপির ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের যুগ্ম কমিশনার সানা শামীনুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
পুলিশি হেফাজতে নেওয়া কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল কবীর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহসভাপতি শাহিন গোলাম রাব্বানী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বেলাল এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মিজান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটকের পর বিজিবি এবং পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের একটি বিশেষায়িত ইউনিটকে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের চারজন আটকের পর মন্ত্রণালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো প্রশাসনিক বা ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে বাইরে দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে সচিবালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দফায় দফায় আদেশ জারি করেছে সরকার। চলতি সপ্তাহেও তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বারবার এ আদেশ অমান্য করে সচিবালয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দাবিতে সভা-সমাবেশ চলছে।
এদিকে আটকের পর ডিএমপির ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের যুগ্ম কমিশনার সানা শামীনুর রহমান বলেন, ‘যে যত বড় ক্ষমতাশালীই হোন না কেন, আইন যিনি ভঙ্গ করবেন তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
এমএম/বিআরইউ