অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে জানুয়ারিতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারি মাসে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধ এবং মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা যায়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এলআরআই)-এ আয়োজিত ‘ভেটেরিনারি ভ্যাকসিন কনফারেন্স ২০২৫’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, প্রাণীস্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ভেটেরিনারি ভ্যাকসিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে ভেটেরিনারি ভ্যাকসিন কনফারেন্স একটি সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ- যার মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার গুরুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, রোগ প্রতিরোধে অবহেলা করলে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বাড়ে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) ঝুঁকি তৈরি করছে। এই ঝুঁকি শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, প্রাণীর মধ্যেও বাড়ছে। তাই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরদার করে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন কমাতে হবে। ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, শুধু গবাদিপশু পালন করলেই হবে না—মানুষের মতো প্রাণীরও যত্ন, চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ প্রয়োজন। কারণ মানুষ যে প্রাণীগুলোকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, সেগুলোর সুস্থতার ওপরই মানুষের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, খুরা রোগ (এফএমডি), লাম্পি স্কিন, পিপিআর, অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকলেও ভ্যাকসিন উৎপাদনে দেশের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডা. রবিন অ্যাল্ডার্স প্রবন্ধের উপস্থাপন করেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও সার্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এলআরআই-এর পরিচালক ড. মো. মোস্তফা কামাল।
এসএইচআর/জেডএস