ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ: সিআইডির জালে ২ প্রতারক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্যসহ নানা ধরণের মালামাল দ্রুত দেশে এনে দেওয়ার নামে আত্মসাৎ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আটকরা হলেন- শাহ আকবর ও জিএম তানভীর হোসেন।
প্রতারক চক্রটির প্রায় ২০ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ অর্থ বিভিন্ন ভিকটিম থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত বলে দাবি করছে সিআইডি।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিআইডির সাইবার ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল মাসুদ বলেন, বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়।
আটকের সময় প্রতারকদের কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অসংখ্য লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এসপি রেজাউল মাসুদ বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টার সিআইডির সাইবার সাপোর্ট টিমের কাছে facebook.com/upshipper নামক ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসতে থাকে। সেসব অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে সাইবার মনিটরিং টিম।
মনিটরিংয়ে দেখা যায়, এই পেজে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। যার মূল বক্তব্য, পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে মালামাল আমদানি করার জন্য এ প্রতিষ্ঠান কাজ করে।
তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। ভিকটিমরা বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধরনের পণ্য আনতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। টাকার পরিমাণ কম হলে বিকাশ একাউন্টে আর বেশি হলে ব্যাংক একাউন্টে তারা টাকা পাঠাতে বলত। তবে প্রথমেই সব টাকা না চেয়ে এর একটি অংশ (সাধারণত ৫০ ভাগ) পাঠানোর জন্য বলত। তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
এর কিছুদিন পর তারা ভিকটিমদেরকে জানায়, তাদের পণ্য কেনা হয়েছে ও কয়েক দিনের মধ্যেই পণ্য দেশে পৌঁছাবে। পণ্য সময়মতো হাতে পেতে চাইলে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে। ভুক্তভোগীরা তাদের এই আশ্বাসে বিশ্বাস করে বাকি অর্থ পাঠিয়ে দেয়। টাকা পাওয়া নিশ্চিত হলে প্রতারকরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
আটকদের কাছ থেকে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ফেসবুক পেজ ছাড়াও প্রায় একই রকম আরও ২৩টি ভিন্ন ভিন্ন নামে ফেসবুক পেজ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
জেইউ/ওএফ