শিশু-যুবদের অংশগ্রহণে ন্যায্য নগর নিশ্চিতের আহ্বান

শিশু ও যুবদের চাহিদাকে কেন্দ্র করে নগর পরিকল্পনা ও সেবা পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে শিশু ও যুবদের অংশগ্রহণে ন্যায্য নগর নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ (বুধবার) মিরপুর রূপনগর কমিউনিটি সেন্টারে শিশু ও যুববান্ধব এলাকা নিশ্চিতের জন্য করণীয় নিরূপণে “শিশু ও যুব-বান্ধব শহর তৈরি” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়। এ আয়োজনে স্কুল দুটির ৩০ জন শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ মিরপুর এলাকা কেমন দেখতে চায় সে বিষয়ে তাদের মতামত ম্যাপ, আঁকা ছবি ও মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, ঢাকা শহর শিশু ও যুবদের জন্য এখনো নিরাপদ ও বান্ধব শহর হয়ে উঠতে পারেনি। অপরিকল্পিত নগরায়ন, যানজট, সড়ক দুর্ঘটনা, শব্দ ও বায়ু দূষণ এবং খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের অভাব ঢাকার শিশু ও যুবদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুতর ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ঢাকায় বসবাসকারী লাখো শিশু নিরাপদ হাঁটাচলা, খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। একই সঙ্গে তাদের নগর পরিকল্পনা ও নগরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগও সীমিত। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিশু ও যুবদের চাহিদাকে কেন্দ্র করে নগর পরিকল্পনা ও সেবা পুনর্বিন্যাস করা এখন সময়ের দাবি।
তারা বলেন, শিশু ও যুববান্ধব ঢাকা গড়ে তোলা মানে একটি নিরাপদ, ন্যায্য ও টেকসই রাজধানী নির্মাণ। এখনই কার্যকর নীতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে ঢাকাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তোলা আবশ্যক। এজন্য নগর পরিকল্পনা এবং নকশা তৈরিতে শিশু ও যুবদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলেই একটি ন্যায্য, বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব জিওগ্রাফি অ্যান্ড প্ল্যানিং-এর সিনিয়র লেকচারার ড. মাতলুবা খান, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার নাঈমা আকতার, আলফা বাংলা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, স্কুল অব লাইফের মেম্বার সেক্রেটারি সাবরিনা নওরিন লিমু প্রমুখ।
এএসএস/এনএফ