ইউএনএইচসিআরের নতুন হাইকমিশনার ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নতুন হাইকমিশনারর নির্বাচিত হয়েছেন ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ। তিনি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তার কর্মস্থল হবে জেনেভা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ইউএনএইচসিআরের ঢাকা অফিস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি আজ নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন হাইকমিশনার নির্বাচন করা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের প্রার্থীরা অংশ নেন। বারহাম সালিহ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তার কর্মস্থল হবে জেনেভা।
গ্রান্ডি বলেন, কয়েক দশকের বেশি সময় ধরে বারহাম সালিহ উচ্চপর্যায়ের জনসেবার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তার রয়েছে স্থিরপ্রতিজ্ঞ নেতৃত্বের গুণাবলী ও কূটনীতিতে সুচিন্তিত ভাবনা। তিনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছেন, যা সম্প্রতি সংঘাত, নিপীড়ন ও বাস্তুচ্যুতির মধ্য দিয়ে গেছে। ফলে আজ অনেক শরণার্থী যে চ্যালেঞ্জের মুখে তা তিনি সরাসরি বুঝতে পারেন।
তিনি বলেন, তার অভিজ্ঞতা ও পটভূমি বর্তমান সময়ে ইউএনএইচসিআরকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাকে উপযুক্ত করে তুলেছে। এটি এমন এক সময়, যখন বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুতি ব্যাপক আকার নিয়েছে এবং মানবিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
ফিলিপো গ্রান্ডির ১০ বছরের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। তিনি ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর সিরিয়া, ইউক্রেন ও সুদানের মতো বড় বাস্তুচ্যুতির বৈশ্বিক সংকটে তিনি ইউএনএইচসিআরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
চলতি বছরে মানবিক তহবিলে বড় ধরনের কাটছাঁট সত্ত্বেও ইউএনএইচসিআর এখনও ১২৮টি দেশে কাজ করছে। সংস্থাটির ১৪ হাজার ৬০০-এর বেশি কর্মীর প্রায় ৯০ শতাংশ মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। এ মাসে ইউএনএইচসিআর জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষায় ৭৫ বছরের যাত্রা পূর্তি উদযাপন করছে।
এনআই/জেডএস